মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মুকুল হোসেন (মাঝে)

স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী ও প্রেমিকার মৃত্যুদণ্ড

রাজধানীর সাভারে মানবিক সাহায্য সংস্থার হিসাবরক্ষক শামীমা আক্তার হ্যাপিকে হত্যা করে লাশ তিন টুকরো করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় স্বামী মুকুল হোসেন ও তার প্রেমিকা লাভলী আক্তার নীলুফাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এস এম কুদ্দুস জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলার আসামি মুকুল হোসেনকে এ দিন আদালতে হাজির করা হয়। অপর আসামি নীলুফা শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, সাভারে এক প্যাকেজিং ফ্যাক্টরির মালিক ছিলেন মুকুল। তিনি পারিবারিকভাবে হ্যাপিকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর হ্যাপি জানতে পারেন যে, দুই বাচ্চার মা নীলুফার সঙ্গে তার স্বামীর পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে। ২০১২ সালের ৭ জানুয়ারি নীলুফার ইন্ধনে স্বামী মুকুল হোসেনসহ আরেকজন হ্যাপিকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে লাশ তিন টুকরো করে কেরানীগঞ্জের আলিপুর ইটভাটার নিচে ফেলে দেন। এরপর ৮ জানুয়ারি তার মাথা উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় কেরানীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক গোলাম সারোয়ার ওই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর মুকুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী লাশের বাকি দুই টুকরো উদ্ধার করা হয়।

২০১২ সালের ৩১ আগস্ট ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

মামলার ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ২৩ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।

জজকোর্ট প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম