ছবি - প্রতীকী

মৃত্যুবরণের ওষুধ সেবন করতে পারবে ভিক্টোরিয়ার নাগরিকেরা

দীর্ঘদিন ধরে তীব্র যন্ত্রণাদায়ক দুরোরোগ্য রোগে ভুগলে তা থেকে মুক্তির জন্য মৃত্যুবরণের ওষুধ সেবন করতে পারবেন অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের নাগরিকেরা।

আজ বুধবার (২৯ নভেম্বর) ভিক্টোরিয়া রাজ্যের সংসদে এ সংক্রান্ত একটি আইন পাস হয়েছে।

ভিক্টোরিয়া রাজ্যের সংসদ

দু’টি রাত মিলিয়ে ১০০ ঘণ্টারও বেশি তুমুল বিতর্কের পর এই ঐতিহাসিক আইন পাস করা হয়। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশ অস্ট্রেলিয়ার প্রথম কোনো রাজ্য হিসেবে ভিক্টোরিয়া মৃত্যুবরণের ওষুধ সেবন বা সহায়তা নেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনগোষ্ঠীর রাজ্যটিতে আগামী ২০১৯ সালের মাঝামাঝি থেকে এই আলোচিত আইন কার্যকর হবে। আইনের আওতায় থাকবেন ১৮ বছর-ঊর্ধ্ব নাগরিকেরা। আর ওষুধ সেবন বা সহায়তা নেওয়ার ছয় মাসেরও কম সময়ের মধ্যে মৃত্যুর কোলে গড়িয়ে পড়বেন তারা।

ভিক্টোরিয়া রাজ্যের সংসদে এমপিরা

রাজ্যের বেশ ক’জন এমপির বিরোধিতা সত্ত্বেও আইনটি পাসের বিষয়ে ভিক্টোরিয়ার প্রধান প্রশাসক বা প্রিমিয়ার ডানিয়েল অ্যান্ড্রুস বলেন, আমি আজ অত্যন্ত গর্বিত যে আমাদের সংসদের কেন্দ্রে এবং রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এই সমবেদনার অধিকারটি প্রতিষ্ঠিত করেছি। এটা রাজনীতির সর্বোচ্চ দৃষ্টান্ত।

আইনটির বিস্তারিত উল্লেখ করে সংবাদমাধ্যম জানায়, এই আইনটি তীব্র যন্ত্রণাভোগী রোগীদের জন্য পাস করা হয়েছে। কেউ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে মৃত্যুকেই বরণ করতে চাইলে তাকে অন্তত ৬৮টি ধাপ পেরোতে হবে।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- মৃত্যুকে বেছে নেওয়া রোগীকে অন্তত তিনটি আবেদন করতে হবে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত চিকিৎসকদের কাছে, যেখানে যন্ত্রণার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি তার মৃত্যু কামনা করবেন। রোগের ধরন থেকে শুরু করে রোগীর আবেদন পর্যন্ত পুরো বিষয়টি রিভিউ বা পর্যালোচনা করবে একটি বিশেষ বোর্ড।

এরমধ্যে যদি আবার কাউকে প্ররোচিত করে বা জোর করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়, তবে সেটা অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। তাছাড়া রোগীদের সুস্থ মানসিকতার এবং ভিক্টোরিয়া রাজ্যে অন্তত ১২ মাস থাকার রেকর্ড থাকতে হবে। তবে যে রোগীদের মধ্যে স্নায়ুর ক্ষমতাকে ধীরে ধীরে কমিয়ে ফেলার মতো অ্যামিওট্রফিক ল্যাটারাল স্কলেরোসিস (এএলএস) থাকবে, তাদের মানসিক সুস্থতার বিষয়টিতে ছাড় মিলবে।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম