কক্সবাজারে যাঁরা জেলা জজের দায়িত্ব পালন করেছেন
বিচারক (ছবি - প্রতীকী)

বিচারক ছাড়াই বছর পার করবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল!

চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের সর্বশেষ বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরীকে বদলি করা হয়েছে গত ফেব্রুয়ারিতে।
গত ১১ মাসে এই আদালতে কোনো বিচারক পদায়ন করা হয়নি। মাস পেরুলেই বিচারক শূন্য হিসেবে বছর পার করে দেবে চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ এই ট্রাইব্যুনাল।

বিচারক ছাড়া দ্রুত বিচারক ট্রাইব্যুনালের মতো একটি আদালত প্রায় এক বছর পার করার নজির আর নেই বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের আইনজীবীরা।

ছয় মাস আগে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার বরাবরে চিঠি দিয়ে বিচারক পদায়নের অনুরোধ করেছিলেন বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি মো.আইয়ূব খান।

জানতে চাইলে আইয়ূব খান গণমাধ্যমকে বলেন, হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার মহোদয় আমাকে ফিরতি চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন বিচারক পদায়নের প্রক্রিয়া অগ্রগামী আছে। কিন্তু গত ৬ মাসেও বিচারক আসেননি।

‘চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার ১৮টি চাঞ্চল্যকর মামলা এই আদালতে বিচারাধীন আছে। হাইকোর্টের বিশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী সেশন জজের পাঠানো জঙ্গি মামলাসহ ৭৫টি চাঞ্চল্যকর মামলা আছে। সব মিলিয়ে ৯০টির উপর মামলা আছে। বিচারক না থাকায় তারিখের পর তারিখ পড়ছে। কিন্তু মামলার কোন অগ্রগতি হচ্ছে না।’

সূত্রমতে, চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের সর্বশেষ বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরীকে সিলেটে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে বদলি করা হয়েছে। এ কারণে গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ট্রাইব্যুনাল বিচারকশূন্য রয়েছে।

পিপি জানান, চাঞ্চল্যকর মামলার মধ্যে বিএনপি নেতা জামালউদ্দিন অপহরণ ও হত্যা মামলা, নগরীর বায়েজিদে ল্যাংটা ফকির খুনের মামলা, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর ও আনসারুল্লা বাংলা টিমের সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ১৫টি মামলা, আদালতে বোমা হামলা চালিয়ে পুলিশ কনস্টেবলসহ দু’জনকে হত্যা মামলা এই আদালতে বিচারাধীন আছে।

‘যেসব মামলা আছে তার মধ্যে অধিকাংশই খুনের মামলা আর জঙ্গি সংক্রান্ত। এসব মামলার ফরিয়াদি আর সাক্ষীরা আসেন। তিনদিন পরপর মামলার হাজিরার তারিখে তারা আসেন। কিন্তু বিচারক না থাকায় মামলার কার্যক্রম চলছে না। এতে তাদেরও ভোগান্তি হচ্ছে,’ যোগ করেন আইয়ূব খান।

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকেও প্রধান বিচারপতি এবং আইন মন্ত্রণালয়ে বিচারক শূন্যতার বিষয়টি কয়েকবার জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবু হানিফ।

তিনি বলেন, ‘বারবার আশ্বাস পাচ্ছি, কিন্তু বিচারক আসছেন না। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারক নিয়োগ দেওয়াটা খুবই জরুরি। এত দীর্ঘদিন ধরে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি আদালত বিচারক শূন্য থাকার নজির অতীতে নেই।’
-বাংলানিউজ

সম্পাদনা- ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম