তিন কন্যার স্মৃতিচারণায় সাবেক প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান

‘আমার বয়স যখন ৪, আমি সব সময় আব্বার গা ঘেঁষে বসতাম। তাঁর সঙ্গে একই চেয়ারে বসতে চাইতাম। সে কারণে আব্বা বড় একটা চেয়ার বানিয়ে আনলেন, যাতে তাঁর সঙ্গে আমি একই চেয়ারে বসতে পারি। একই বালিশে ঘুমানোর জন্য লম্বা একটা বালিশও বানিয়ে আনলেন। রাতে ঘুমের মধ্যে পুরো বালিশই আমি টেনে নিয়ে নিতাম। সকালে ঘুম ভাঙার পর আব্বা আপুদের বলতেন, দেখো, রওনাক পুরো বালিশই নিয়ে নিয়েছে।’ বললেন স্মৃতিকাতর রওনাক শিরীন।

এত স্নেহময় এই ‘আব্বা’ কে? জবাব, মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান। পরিচয় ১৯৯৫ সালের প্রধান বিচারপতি এবং ১৯৯৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। কিন্তু এটি তো নিছকই পেশাগত পরিচয়। এই ভারিক্কি পরিচয়ের আড়ালে স্নেহময় কোমল বাবার পরিচয়টি তাঁর মেয়েরা ছাড়া আর কেই-বা দিতে পারেন। রওনাক হাবিবুর রহমানের তিন মেয়ের মধ্যে সবচেয়ে ছোট। ছিলেন আব্বার খুব ন্যাওটা। বললেন, ‘তিন বোনের মধ্যে আব্বার সঙ্গে সবচেয়ে বেশি মিশেছি আমিই।’

কিন্তু বড় মেয়ে রুবাবা রহমান আর মেজ নুশরাত হাবিব তা মেনেই বা নেবেন কেন? কে যে বাবার বেশি আদর পেয়েছেন, সে কথা আর শেষ হয় না।

রুবাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর করেছেন। ব্র্যাকে কাজ করেছেন ১৪ বছর। এখন ইনস্টিটিউট অব হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ডেপুটি ডিরেক্টর, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।

নুশরাত ও রওনাক দুজনই বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক। নুশরাত যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস থেকে স্নাতকোত্তর করেছেন। এখন ওরেগনে ইনটেল করপোরেশনে কাজ করছেন। রওনাক ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস থেকে স্নাতকোত্তর এবং ইউনিভার্সিটি অব ডেলাওয়্যার থেকে পিএইচডি করেছেন। কাজ করছেন ফ্লোডিয়ায়, প্রকৌশল কোম্পানি করবোয়।

বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান (জন্ম: ৩ ডিসেম্বর ১৯২৮) দেহত্যাগ করেছেন ২০১৪ সালের ১১ জানুয়ারি। তাঁর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকার গুলশানে ‘আব্বা’র বাসায় বসলেন এই তিন বোন। খুলে বসলেন বাবাকে নিয়ে তাঁদের স্মৃতির ঝাঁপি।

পেশাগত দায়িত্বের বাইরেও মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের ব্যস্ততার শেষ ছিল না। তাঁর আগ্রহের ক্ষেত্র ছিল বিচিত্র। রাষ্ট্র ও আদালত, ইতিহাস, ধর্ম, প্রবাদ-প্রবচন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নানা বৈশিষ্ট্যের অভিধান, শিল্পসাহিত্য। সব বিষয়েই নিমগ্ন ছিলেন নিরন্তর অনুসন্ধানের মধ্যে। দুহাতে রচনা করেছেন বইয়ের পর বই। লিখেছেন ইতিহাস নিয়ে গঙ্গাঋদ্ধি থেকে বাংলাদেশ, রাষ্ট্র নিয়ে আমরা কি যাব না তাদের কাছে যারা শুধু বাংলায় কথা বলে কিংবা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়ভার, ভাষা নিয়ে প্রথমে মাতৃভাষা পরভাষা পরে, ধর্ম নিয়ে কোরানসূত্র বা যার যা ধর্ম-এর মতো বই। রচনা করেছেন যথাশব্দ বা মিত্রাক্ষর-এর মতো অভিধান।

এত ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি স্ত্রী-কন্যাদের সময় দিতেন কী করে? বড় মেয়ে রুবাবা বললেন, ‘আব্বা ব্যস্ত থাকলেও সব সময় খেয়াল রাখতেন তাঁর মেয়েদের যেন কোনো সমস্যা না হয়। কী যত্ন যে নিতেন আমাদের!’

আদব-কায়দার কোনো তুলনা ছিল না তাঁর। নিজের পরিবারের সদস্যদের মর্যাদা দেওয়ার ব্যাপারেও কোনো কমতি ছিল না। পুরো পরিবার নিয়ে কোনো অনুষ্ঠানে গেলে সব সময় আগে স্ত্রী ও মেয়েদের গাড়িতে তুলে দিতেন। তারপর নিজে উঠতেন। কোনো অনুষ্ঠানে ঢোকার সময়েও প্রথমে এগিয়ে দিতেন তাঁদের। নিজে আসতেন পেছনে পেছনে। রুবাবা বললেন, ‘আব্বা প্রধান বিচারপতি বা প্রধান উপদেষ্টা থাকার সময়ও এ ধরনের আচরণের কোনো ব্যত্যয় দেখিনি। তাঁর শত ব্যস্ততার মধ্যেও আমরা প্রয়োজনের সময় তাঁকে পাইনি, এমনটা ঘটেনি।’

কোনো মজার ঘটনা কি মনে পড়ে, বাবার সঙ্গে? রুবাবা শুনিয়ে দিলেন এক গল্প। বললেন, ‘আব্বা শেভ করার সময় আমি দেখতাম মুগ্ধ হয়ে। একদিন আমিও গালে ফেনা দিয়ে গেলাম শেভ করতে। তারপর গাল কেটে রক্তারক্তি অবস্থা। খুব ভয় পেয়েছিলাম। বারবার জিজ্ঞেস করছি, আব্বা, আমার মুখ ভালো হবে তো। আব্বা আমাকে কোলে নিয়ে ঘুরেছেন। অভয় দিয়ে বলেছেন, অবশ্যই ভালো হবে, মা।’

তিন বোনই বললেন, বাবা কখনোই তাঁদের লেখাপড়া নিয়ে কিছু ধরতেন না। বরং সহযোগিতা করতেন অনেক। নুশরাত বললেন, ‘আব্বার কাছে আমরা বানান শিখতাম। শিখেছি কীভাবে প্রুফ দেখতে হয়, দ্রুত পড়তে হয়। জজিয়তি করার সময় তাঁকে প্রচুর ফাইল পড়তে হতো। জিজ্ঞেস করতাম, অল্প সময়ে এত পড়েন কীভাবে? বলতেন, দুই লাইনের মাঝখানে চোখ রেখে পড়লে দ্রুত পড়া যায়।’

ছোটবেলায় এই তিন মেয়ে জেনেছেন, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন চলিষ্ণু বিদ্যাকল্পদ্রুম। বাবার মধ্যেও তাঁরা এর প্রতিফলন দেখেছেন। নুশরাত বললেন, ‘আম্মা আর রুবাবা আপু বাবাকে বলতেন চলন্ত বিশ্বকোষ। কোনো বিষয়ে জানতে হলে বলতাম, চল, আমাদের বিদ্যাকল্পদ্রুমের কাছে যাই।’ রুবাবা যোগ করলেন, ‘কোনো শব্দ নিয়ে কিছু জানতে চাইলে আব্বা চট করে বলে দিতেন। পরে সে বিষয়ে কোনো বই বা লেখা পড়তে দিতেন, যাতে আরও ভালোভাবে জানতে পারি।’

তিন মেয়েই একযোগে বলেছেন, কোনো কোনো বিষয় নিয়ে বাবার সঙ্গে তাঁদের তর্ক লেগে যেত। তাঁরাও লেগেই থাকতেন। ছাড়তেন না। বাবা তখন বলতেন, ‘তোমাদের সঙ্গে তর্কে পারব না। তোমরা তো ল ইয়ার হলেই পারতে।’

মেয়েদের খুব ছোট অর্জনকেও মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান খুব বড় করে দেখতেন। নুশরাত জানালেন, ‘আমরা বলতাম, আপনি তো খুব নামকরা লোক। আমরা যে সে রকম হতে পারিনি, আপনার খারাপ লাগে না? আব্বা হেসে বলতেন, কী যে বলো। তোমরা তোমাদের মতো হও।’

স্ত্রীর সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়া ছিল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের। পরস্পরের মধ্যে ছিল প্রবল শ্রদ্ধাবোধ। নিজের লেখা বা বক্তৃতা নিয়ে স্ত্রী ও মেয়েদের মত জানতে চাইতেন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান। মেয়েরা মত দিলে বেশ খুশি হতেন। তবে স্ত্রীর মতামতকে গুরুত্ব দিতেন বেশি। বলতেন, ‘দেখেছ, তোমাদের মা কত বুদ্ধিমতী।’

রুবাবার মনে দাগ কেটে আছে একটি ঘটনা। তাঁদের আব্বার জন্ডিস হলো একবার। মা-ও খুব অসুস্থ। দুজনই হাসপাতালে। কিন্তু মেয়েরা চাইলেও কাউকে কষ্ট করে হাসপাতালে রাত কাটাতে দিলেন না। হাসপাতালে বেশিক্ষণ বসতেও দেননি। চট্টগ্রামে বেড়াতে গিয়ে একবার পড়ে গিয়ে আহত হয়েছিলেন তিনি। ভর্তি করা হলো ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে। মেয়েরা যাবেন সেখানে। হাসপাতালের লোকদের তিনি বললেন, ‘আমার মেয়েরা আসছে। ঘরের সব আলো জ্বালিয়ে দাও।’ অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়ার সময় স্ত্রীকে দেখিয়ে বললেন, ‘পাগলিটাকে নিয়ে যাও। ও তো এখন কান্নাকাটি করবে।’ রুবাবা বললেন, ‘আব্বা কখনো ভয় পেতেন না। ভড়কে যেতেন না।’

মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান কাজ করতেন ঘড়ির কাঁটা ধরে। ভোরে উঠে নামাজ আদায় করতেন, কোরআন পাঠ করতেন। তারপর হাঁটতে বেরোতেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকেরা যখন সঙ্গে থাকতেন, তাঁদের নিয়েই ভোরবেলা হাঁটতে বেরোতেন। নুশরাত তাঁর সঙ্গে বিভিন্ন দেশে গিয়েছেন। কোথাও এ রুটিনের ব্যতিক্রম দেখেননি। কখনো কখনো চা খেতে ইচ্ছে হলে নিজেই বানিয়ে নিতেন। মেয়েদের নাশতাও বানিয়ে দিতেন মাঝেমধ্যে। নাশতা বানিয়ে খাওয়াতেন অতিথিদেরও।

রুবাবার গর্ব মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের নিখাদ দেশপ্রেম নিয়ে। দেশ ও দেশের শাসনব্যবস্থা নিয়ে খুব ভাবতেন তিনি। সরাসরি কাউকে সমর্থন করতেন না। তবে সমালোচনা করার দরকার হলে নির্দ্বিধায় করতেন।১৯৯৬ সালে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা থাকার সময় তৎকালীন রাষ্ট্রপতি সেনাপ্রধানকে বরখাস্ত করেন। এতে দেশে তীব্র সংকট তৈরি হয়। সে সময় তাঁর দৃঢ়তা ছিল দেখার মতো।

তিন মেয়ের আফসোস, বাবার ছিটেফোঁটাও তাঁরা পাননি। কিন্তু বাবা যে এই তিন মেয়েকে নিয়ে কী গর্ব করতেন, তাঁদের গল্পে কি আর সেটি লুকিয়ে রাখা যায়!

বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান

জন্ম: ৩ ডিসেম্বর ১৯২৮—মৃত্যু: ১১ জানুয়ারি ২০১৪

বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের জন্ম পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গীপুর মহকুমার দয়ারামপুর গ্রামে। বাবা মৌলভী জহিরউদ্দিন বিশ্বাস ছিলেন আইনজীবী এবং মা গুল হাবিবা ছিলেন গৃহিণী। মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান জঙ্গীপুর হাইস্কুল থেকে ১৯৪৫ সালে প্রবেশিকা এবং কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯৪৭ সালে আইএ পাস করেন। ১৯৪৮ সালে পরিবারের সঙ্গে স্থায়ীভাবে চলে আসেন রাজশাহীতে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫০ সালে ইতিহাসে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে বিএ (সম্মান) ডিগ্রি এবং ১৯৫১ সালে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হল সংসদ নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৫২ সাল। ভাষা আন্দোলন তখন তুঙ্গে। মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ছিলেন ভাষা আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার হয়ে তিন সপ্তাহ কারাবাস করেন। যুক্ত ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়েনর গোড়াপত্তনের সঙ্গেও।

১৯৫৫ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন। বৃত্তি নিয়ে পড়তে যান বিলেতে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উরস্টার কলেজ থেকে ১৯৫৮ সালে আধুনিক ইতিহাসে বিএ (অনার্স) এবং ১৯৬২ সালে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১৯৫৯ সালে লিঙ্কনস ইন থেকে বার-অ্যাট-ল সম্পন্ন করেন।

কর্মজীবন

১৯৫২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসের প্রভাষক হিসেবে মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের কর্মজীবন শুরু। কিছুদিন শিক্ষকতা করেছেন সিরাজগঞ্জ কলেজ ও জগন্নাথ কলেজেও। ১৯৬০ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। সেখানে আইন অনুষদের ডিন এবং পরে ইতিহাসের রিডার পদে কর্মরত ছিলেন।

১৯৬৪ সালে তিনি ঢাকা হাইকোর্টে আইন পেশা শুরু করেন। মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ১৯৭৬ সালে হাইকোর্টের বিচারপতি পদে নিয়োগ লাভ করেন। ১৯৮৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি নিযুক্ত হন। বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি পদে অভিষিক্ত হন ১৯৯৫ সালে।

সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে তিনি ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

প্রকাশিত বই

মননশীল লেখক হিসেবে মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের আগ্রহ ও দখল ছিল বিচিত্র বিষয়ে। তাঁর গবেষণার ক্ষেত্রে বিস্তৃত ছিল সাহিত্য, রাজনীতি, ধর্ম, সমাজ প্রভৃতি বিচিত্র পরিসরে। প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ল অব রিকুইজিশন, যথাশব্দ, রবীন্দ্র-প্রবন্ধে সংজ্ঞা ও পার্থক্য বিচার, প্রথমে মাতৃভাষা পরভাষা পরে, মাতৃভাষার সপক্ষে রবীন্দ্রনাথ, কোরানসূত্র, বচন ও প্রবচন, গঙ্গাঋদ্ধি থেকে বাংলাদেশ, রবীন্দ্র-রচনার রবীন্দ্র-ব্যাখ্যা, আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, বাংলাদেশ সংবিধানের শব্দ ও খণ্ডবাক্য, কোরানশরিফ: সরল বঙ্গানুবাদ, কোরানসূত্র, বাংলাদেশের তারিখ, সরকার সংবিধান ও অধিকার, রাজনৈতিক কবিতা, তাও তি চিং-এর অনুবাদ, আমরা কি যাব না তাদের কাছে যারা শুধু বাংলায় কথা বলে, আইন-অধিকার ও বিরোধ ও মীমাংসা, নির্বাচিত চীনা কবিতা, আইন শব্দকোষসহ তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৯৪টি। এর মধ্যে কবিতার বই ১৪টি, ভাষা বিষয়ক ৯টি, রবীন্দ্র বিষয়ক বই ১২টি, আইন ও সংবিধান বিষয়ে লিখেছেন ৬টি, অনুবাদগ্রন্থ ৪টি এবং অন্যান্য প্রবন্ধের বই রয়েছে ৪৫টি।

পুরস্কার

বিচারপতি হাবিবুর রহমান ১৯৮৪ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, ২০০৭ সালে একুশে পদক পেয়েছেন। এ ছাড়া পেয়েছেন অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির ফেলো, বাংলা একাডেমির ফেলো, লিঙ্কনস ইন-এর অনারারি বেঞ্চার এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উরস্টার কলেজের সাম্মানিক ফেলো।

কৃতজ্ঞতা – প্রথম আলো