বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট

উত্তরা মেডিকেলের ভর্তি নিয়ে আপিলের রায় মঙ্গলবার

রাজধানীর উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে সাধারণ কোটায় ভর্তিকৃত ৫৭ শিক্ষার্থীর একাডেমিক কার্যক্রমে ৩০ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আদেশ দেয়ার জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

আজ সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশ দেয়ার দিন ধার্য করেন।

আদালতে মেডিক্যাল কলেজের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

গত ৯ জানুয়ারি ওই মেডিক্যাল কলেজের সাধারণ কোটায় ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া ৫৭ শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রমের ওপর ৩০ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই কলেজে ‘আগে আসলে আগে ভর্তির সুযোগ’ এই পদ্ধতিতে ভর্তির প্রক্রিয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

এছাড়া এ বিষয়ে ১০ দিনের মধ্যে বিশেষ বার্তা বাহকের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট রেজিনা মাহমুদ ও অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

পরে মোতাহার হোসেন বলেন, গত ১৪ ডিসেম্বর ওই মেডিক্যাল কলেজে মেধাক্রম অনুযায়ী শিক্ষার্থীর ভর্তি না নিয়ে ‘আগে আসলে আগে ভর্তির সুযোগ’ ঘোষণা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ওই দিন বেলা ১১টার পর তারিকুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী কলেজে গিয়ে জানতে পারেন এরই মধ্যে ৫৭ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়ে গেছে। ভর্তির সর্বনিম্ন স্কোর ছিল ২৫০.৪৫। তারিকুলের দাবি মেধাক্রম অনুযায়ী ভর্তি করলে সে ভর্তির সুযোগ পেত।

পরে ২ জানুয়ারি তারিকুলের বাবা নজরুল ইসলাম আধুনিক মেডিক্যাল কলেজের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পদ্ধতি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন।

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম