যশোর রোডের শতবর্ষী গাছ কাটার সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে স্থগিত

প্রশস্ত করতে যশোর-বেনাপোল সড়কের শতবর্ষী দুই হাজারের বেশি গাছ কাটার সিদ্ধান্ত ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও ইকবাল কবীর লিটনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

এর আগে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করেন পরিবেশ ও মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রিটে সড়ক ও জনপথ সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, খুলনার ডিসি ও যশোরের পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

এর আগে গত রোববার এ গাছ কাটার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন বেসরকারি স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শেখ মো. মহিবুল্লাহ।

তার পক্ষে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান রেজিস্ট্রি ডাকযোগে নোটিশটি পাঠান। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে এতে উল্লেখ করা হয়।

সড়ক ও জনপথ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, খুলনার ডিসি ও যশোরের পুলিশ সুপারকে আগামী সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে নোটিশে।

আইনজীবী ইশরাত হাসান সেদিন সাংবাদিকদের বলেন, যশোর-বেনাপোল সড়কের দুই হাজারের বেশি গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই গাছগুলো দেশের ঐতিহ্য। গাছ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। তাছাড়া গাছ কাটার সিদ্ধান্ত সংবিধানের সঙ্গে সাংর্ঘষিক।

উল্লেখ্য, যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক চার লেন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সড়ক বিভাগ এরই মধ্যে দরপত্রও আহ্বান করা হয়েছে।

গত ৬ জানুয়ারি এ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের এক বিশেষ সভায় সড়ক চওড়া করতে দুই ধারের গাছগুলো কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু সরকারের এই সিদ্ধান্তে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা করছেন কেউ কেউ। তাদের দাবি, গাছ না কেটেও সড়ক চওড়া করা সম্ভব।

তবে সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, গাছ রেখে সড়ক চওড়া করতে হলে সড়কের পাশে বিপুল পুরিমাণ জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। বন্দর এলাকায় জমির দাম বেশি বলে সড়ক নির্মাণের খরচ বেড়ে যাবে।

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম