উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান

হাইকোর্টের রায়ের কপি পেলে নির্দেশনা অনুযায়ী ডাকসু নির্বাচনের কাজ

হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি পাওয়ার পর সেই নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের কাজ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে করা ২৫ শিক্ষার্থীর এক রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন করার নির্দেশ দিয়েছেন। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে রায় ঘোষণার পর সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা জানান।

২৭ বছর ধরে বন্ধ থাকা ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ২০১৭ সালে জোরালো আন্দোলন হয়েছিল। ৪ই মার্চ অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ তম সমাবর্তনে এসে ডাকসু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন রাষ্ট্রপতি। সেখানে তিনি বলেন ‘ডাকসু ইজ মাস্ট’। এর পর দিন থেকে ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে ছাত্র সংগঠনগুলো আন্দোলন শুরু করে।

এরই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই ছাত্র প্রতিনিধি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নির্বাচনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তখন শিক্ষকদের সঙ্গে তাদের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এর পরে ডাকসুর দাবিতে সোচ্চার শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উন্মুক্ত আলোচনা, বিতর্ক, সংলাপ, প্রতিবাদী গানের আয়োজন, মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, মুখে কালো কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ প্রদর্শন প্রভৃতি বিভিন্ন আয়োজন করে।

এর পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান। গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হলে নেতৃত্ব তৈরি হবে না। যেটির কথা সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতিও বলেছেন। কিন্তু এ নির্বাচনের সঙ্গে অনেক কম্পোনেন্ট জড়িত। তবে আমাদের একটা জায়গা থেকে কাজ শুরু করতে হবে।

সর্বশেষ ২৫ নভেম্বর (২০১৭) ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে অনশন করেন সান্ধ্যকালীন কোর্সের ছাত্র ওয়ালিদ আশরাফ। অনশন ভাঙ্গার সময় উপাচার্য বলেন, ২৭ বছর ধরে যেই জঞ্জাল তা দূর করতে সময় লাগবে এবং হঠকারীভাবে কিছু করা যাবে না। পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এগুলো পরিকল্পিতভাবে করতে হবে।

এর পর ১৩ ডিসেম্বর (২০১৭) উপাচার্য ডাকসু নির্বাচন দিয়ে রেকর্ড করার ইচ্ছা প্রকাশ করে বলেন, ‘গণতন্ত্রের সূতিকাগার হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এটি হচ্ছে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান। আমরা এ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান সচল রাখতে চাই। আমরা ডাকসু নির্বাচন করব ইনশাল্লাহ। গত ২৭ বছর ধরে সব প্রশাসন ডাকসু নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু ডাকসু নির্বাচন না হওয়ার পেছনে কোনো সুনির্দিষ্ট যুক্তি ছিল বলে মনে করি।

বাস্তবতা হলো, আমরা ডাকসু নির্বাচন চাই এবং ২৭ বছর ধরে ডাকসু নির্বাচন হয়নি। নির্বাচন না হওয়ার এ সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। আমরা আপনাদের আশা পূর্ণ করব। এবং প্রত্যাশা করি ডাকসু নির্বাচন হবে। বাংলানিউজ

সম্পাদনা- ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম