নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতি নির্বাচনের প্রচারণায় শামীম-তৈমুরের হাস্যরস

ব্যক্তিজীবনে দুজন দেশের দুই বড় রাজনৈতিক দলের নেতা। রাজনীতির মাঠেও তারা একে-অপরের কঠিন প্রতিপক্ষ। কিন্তু কোনো কারণে পাশাপাশি অবস্থানের সুযোগ পেলে উভয়েই মেতে ওঠেন হাসি-ঠাট্টায়। তাদের একজন আওয়ামী লীগের এ কে এম শামীম ওসমান; তিনি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য। অপরজন অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি।

উভয়ের মধ্যে বড় ভাই-ছোট ভাইয়ের সম্পর্ক। সেই সম্পর্কের সূত্রে বিগত কয়েক বছর জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে উভয় নেতাই নিজ নিজ দলের পক্ষে উপস্থিত থাকেন আদালতে। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ বারের নির্বাচনেও এ দুই নেতা উপস্থিত ছিলেন নিজ নিজ দলের পক্ষে।

মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাচন চলাকালে শামীম ওসমান এগিয়ে যান অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের দিকে। বলেন, ‘ভাই, আপনাকে তো আমি অনেক বড় নেতা বানিয়ে দিলাম। আমার কথায় নাকি আপনাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এখন আবার জামিনও পেয়ে গেছেন। তাই আমার ফিস এক হাজার টাকা দেন।’

শামীম ওসমানের কথায় তৈমুর আলমও সহাস্যে পকেট থেকে এক হাজার টাকা বের করে শামীম ওসমানের হাতে তুলে দেন। এরপর যে যার পথ ধরেন। উভয় নেতার এ ধরনের আন্তরিকতা উপভোগ করেন উপস্থিত আইনজীবী ও দলের নেতাকর্মীরা।

উল্লেখ্য, গত ২১ ও ২২ জানুয়ারি দুটি বেসরকারি টেলিভিশন টক শোতে অংশ নেন শামীম ওসমান ও তৈমুর আলম খন্দকার। তারা নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি নিয়ে স্ব-স্ব অবস্থান তুলে ধরে বক্তব্য দেন। এরপর ২৩ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণের সামনে থেকে পুলিশ তৈমূর আলমকে গ্রেফতার করে। একদিন কারাভোগের পর ২৫ জানুয়ারি তিনি জামিনে মুক্তিলাভ করেন।

জেলা প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম