ভারতের সহযোগিতা চায় মালদ্বীপের সুপ্রিম কোর্ট

সুপ্রিম কোর্টের দুটি আদেশে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনের অভিশংসনের শঙ্কা তৈরি হওয়ার পর দেশটির প্রধান বিচারপতিসহ অন্য বিচারপতিরা নিজেরাই গ্রেফতারের শঙ্কায় পড়েছেন। প্রধান বিচারপতি আবদুল্লাহ সায়িদ ও অন্য বিচারপতিরা গ্রেফতারের আশঙ্কায় প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোর সহযোগিতা চাইছেন বলে খবর দিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

মালদ্বীপ সুপ্রিম কোর্ট সূত্রের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, দেশটির প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মো. নাশিদসহ সব রাজনৈতিক বন্দীর মুক্তির আদেশ দেয় দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এ ছাড়া গত বছর বরখাস্ত হওয়া বিরোধীদের দলের ১২ সংসদ সদস্যকেও পুনর্বহাল করেন আদালত। এ কারণে অভিশংসনের শঙ্কায় পড়েন দেশটির প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন। শঙ্কার মুখে তিনি সেনাবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের আদেশ বাস্তবায়নে অনাগ্রহ দেখালে রোববার বিরোধী দলগুলোর সর্বাত্মক জোট পার্লামেন্টে রাষ্ট্রের শীর্ষ আইন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন। পদত্যাগ করেন সংসদ সচিবালয়ের মহাসচিব। এর পরই সেনাবাহিনী সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে পার্লামেন্ট ভবন ঘিরে ফেলে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুপ্রিম কোর্টের এক সূত্র জানিয়েছে, ‘ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হাসান সায়িদের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। মালদ্বীপে আইনের শাসন নিশ্চিত করতে আমরা ভারতের পদক্ষেপ চাইছি।’

এদিকে গতকাল রোববার সকালে সেনাপ্রধান ও পুলিশ প্রধানকে সঙ্গে নিয়ে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ভাষণ দেন অ্যাটর্নি জেনারেল মোহামেদ অনিল। তিনি বলেন, ‘জানা যাচ্ছে, প্রেসিডেন্টকে অভিশংসিত অথবা তাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতে রুল ইস্যু করতে পারে সুপ্রিম কোর্ট। রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠান এরই মধ্য এই বার্তা পেয়েছে। যদি পরিস্থিতি তা-ই হয় তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে আমরা অনুরোধ করবো সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক রুল যেন তারা মেনে না নেয়।’

এদিকে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ বাস্তবায়নের দাবিতে বিরোধি দলগুলো রোববার পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখিয়েছে। সোমবারেও বিক্ষোভ হবে বলে জানিয়েছে মালদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টি (এমডিপি)।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম