সাগর-রুনি হত্যায় আদালতের স্বপ্রণোদিত রুল চায় সাংবাদিক নেতারা

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আদালত স্বপ্রণোদিত রুল দেবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন সাংবাদিক নেতারা।

আজ রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সামনে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে এক সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

একইসঙ্গে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডে গত ছয় বছরে ৫৩ বার তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার সময় বাড়ানোর ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেন তারা।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ডিআরইউর সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ছয় বছরে কেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এই হত্যার রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয়েছে। অন্য কোনো কারণ আছে কি? আমরা জানতে চাই। কেন তারা বারবার ব্যর্থতার তকমা নিচ্ছে?

ডিআরইউর সভাপতি বলেন, সাংবাদিক হত্যার বিচার হবে না এ কথা রাষ্ট্র, প্রশাসন প্রকাশ্যে বলুক- আমরা মেনে নেবো। বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। ধারাবাহিক কর্মসূচি ডিআরইউ পালন করবে। চাঞ্চল্যকর এই হত্যার কোনো ক্লু বের হচ্ছে না, এ থেকে প্রমাণ হয় প্রশাসন ব্যর্থ।

একই সমাবেশে ডিআরইউ-এর সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা বলেন, খুনিরা ধরা না পড়া পর্যন্ত এই আন্দোলন থেকে সাংবাদিকরা সরে আসবেন না। খুনি ধরা না পড়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

ডিআরইউ’র সাধারণ সম্পাদক শুক্কুর আলী শুভ বলেন, আমাদের বিশ্বাস এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন দেবে এটা আমাদের বিশ্বাস।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, আমরা এই হত্যার বিচারের দাবিতে কোনো কমিটি কিংবা ক্যাম্পিং কিছুই করিনি।

আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আগামী বছর যেন শুধু আনুষ্ঠানিকতা না হয়। সাংবাদিক দম্পতির ছেলে মেঘকে এখানে দাঁড় করিয়ে যেন বলতে পারি বিচার হয়েছে।

এ সময় ডিআরইউ-এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, মোরসালীন নোমানী, ইলিয়াস হোসেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বক্তারা বিশেষ ট্রাইব্যুনাল করে এই সাংবাদিক দম্পতি হত্যার বিচার দাবি করেন।

সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাব হয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেন সাংবাদিক নেতারা।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজেদের বাসা থেকে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনির ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। এই হত্যা মামলায় আটজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও এখনও রহস্যের জট খোলেনি। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মধ্যে পাঁচজন অন্য একটি হত্যা মামলায় আগেই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।