গোটা জেলখানাই তো ওনাকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে- খালেদাকে উদ্দেশ্য করে সংসদে সেলিম

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, ওনারা গরিবের টাকা চুষে বাইরে আরাম-আয়েশ করবে, জুয়া খেলে আরাম-আয়েশ করবে- এটা হতে পারে না। হতে দেওয়া হবে না।

দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার ডিভিশন পাওয়া নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের জবাবে শেখ সেলিম বলেন, ওনাকে এত সুন্দর একটা বাড়ি দেওয়া হয়েছে, গোটা জেলখানাই তো ওনাকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কত আরাম-আয়েশে আছেন। আর বলে কি ওনাকে ডিভিশন দেওয়া হয়নি, অমুক দেওয়া হয়নি, তমুক দেওয়া হয়নি। ওনাকে কি পাঁচ তারকা হোটেল সোনারগাঁওয়ে রাখতে হবে? চুরি করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ওনাকে তো কনডেম সেলে রাখা উচিত। কাজ করা উচিত।‌

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণ  সম্পর্কে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে একথা বলেন সিনিয়র এই পার্লামেন্টেরিয়ান।

শেখ সেলিম বলেন, হাওয়া ভবনে বসেই তারেক জিয়া জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বৈঠক করে আওয়ামী লীগকে পুরোপুরি শেষ করে দিতেই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল। হামলার পর খুনিদের বিদেশে পালানোর সুযোগ দিয়ে প্রমাণ হয়েছে এই গ্রেনেড হামলার সঙ্গে খালেদা জিয়াও জড়িত ছিলেন। এজন্য সরকারকে অনুরোধ করবো যদি সুযোগ থাকে খালেদা জিয়াকে এক নম্বর আসামি করে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার তরান্বিত করুন।

খালেদা জিয়ার রায়ের পর লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশনে হামলার ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, তারেকের নির্দেশে কিছু সন্ত্রাসী লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশনে হামলা করে ভাঙচুর করে। এমনকি বঙ্গবন্ধুর ছবি পর্যন্ত সেখানে ভাঙচুর হয়। বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু মানে স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধু না হলে এই স্বাধীন দেশের নাগরিক হতে পারতাম না। সেই বঙ্গবন্ধুকে কারা আক্রমণ করতে পারে? আক্রমণ করতে পারে পাকিস্তানি এজেন্ট স্বাধীনতা বিরোধী ’৭১ ও ’৭৫ এর পরাজিত শক্তিদের এজেন্টরাই।