বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত

দরপত্র আইনের একটি ধারার বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল

দরপত্র-সংক্রান্ত আইন (সংশোধিত) ২০১৬ এর ৩১ (৩) ধারা কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যান, জেনারেল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের মহাপরিচালক ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত এক রিট প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্টার লাইট এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনসট্রাকশন ইন্ডাট্রিজ রিট আবেদনটি দায়ের করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আখতার ইমাম। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার রেশাদ ইমাম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

পরে ব্যারিস্টার রেশাদ ইমাম আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্টের সেকশন ৩১ (৩) ধারায় বলা আছে, যারা টেন্ডার বিট করবে তাদের অফিসিয়াল এস্টিমেট কস্টের ১০ ভাগ প্লাস বা ১০ ভাগ মাইনাসে বিট করতে হবে। মানে অফিসিয়াল এস্টিমেট কস্ট যদি হয় ১০০ টাকা তাহলে একটা টেন্ডারের যারা বিট করবে তারা ৯০ টাকার নিচে আর বিট করতে পারবে না। এ আইনের কারণে তখন দেখা যায়, ৫ থেকে ১০ জন টেন্ডারার ৯০ বিট করে।

আইন অনুযায়ী, ওই ৫ জন বা ১০ জনের মাঝখানে যে কোম্পানির এভারেজ বার্ষিক টানওভার সবচেয়ে বেশি টেন্ডার তিনি পাবেন। মানে যেটা বড় ঠিকাদারি কোম্পানি তারাই পাবে। এ আইনের কারণে যারা বড় কোম্পানি আছে তারা একচ্ছত্রভাবে টেন্ডার পাচ্ছে। অপেক্ষাকৃত ছোট কিন্তু যোগ্য কনসট্রাকশন কোম্পানি বঞ্চিত হচ্ছে। অথচ শতকরা ৮০ থেকে ৯০ ভাগ ছোট কনসট্রাকশন প্রতিষ্ঠান।

আইনজীবী বলেন, আমরা রিট আবেদনে বলেছি, এ আইন থাকলে বড় কন্ট্রাকটাররা বড় হতেই থাকবে আর যারা ছোট কন্ট্রাকটার তারা ছোট থেকেই যাবে। তাদের কোনোদিন আর প্রোফাইল বাড়বে না। তখন কমপিটিশন থাকবে না। দুই থেকে তিনজনই কন্ট্রোল করবে। এই আইনটাই করা হয়েছে কিছু লোককে সুবিধা দেয়ার জন্য।