অর্পিত সম্পত্তি আইন নিয়ে সুলতানা কামালের মন্তব্যে আইন মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন ২০০১ বাস্তবায়নে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ভূমিকা নিয়ে যে নেতিবাচক মন্তব্য করেন, তার প্রতি আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয় এবং সুলতানা কামালের ওই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আইন মন্ত্রণালয় ব্যাখ্যা দেয়, যা ২৭ ফেব্রুয়ারি কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

পত্রিকায় প্রকাশিত আইন মন্ত্রণালয়ের ওই ব্যাখ্যার বিষয়ে সুলতানা কামালের পক্ষে ‘জাতীয় নাগরিক সমন্বয় সেল’ বক্তব্য দেয়, যা ২৮ ফেব্রুয়ারি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। পত্রিকায় প্রকাশিত ‘জাতীয় নাগরিক সমন্বয় সেল’-এর ওই বক্তব্যের বিষয়ে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় ফের নিম্নরূপ ব্যাখ্যা দিয়েছে।

ব্যাখ্যা : আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিগত ২৬ ফ্রেব্রুয়ারি প্রদত্ত প্রতিবাদে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল, ‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন, ২০০১-এর ১৯ ধারার বিধানমতে আপিল ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের দায়িত্ব প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় হিসেবে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওপর ন্যস্ত। বেশ কয়েক মাস আগে আইনমন্ত্রীর সভাপতিত্বে আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ভূমি মন্ত্রণালয়ের একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে রিট দায়ের না করা এবং এ বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সব জেলা প্রশাসককে অবহিতকরণের সিদ্ধান্ত হয়।’

ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দায়িত্ব সম্পূর্ণরূপে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওপর ন্যস্ত। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক কিংবা আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ নয়। তাই উক্তরূপ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না হওয়ার দায়ভার আইনমন্ত্রী কিংবা আইন মন্ত্রণালয়ের ওপর বর্তায় না। সুতরাং এই বিষয়ে আইনমন্ত্রীকে আক্রমণ করে অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল উপর্যুপরি যে বক্তব্য দিয়ে চলেছেন, তা অগ্রহণযোগ্য, অযৌক্তিক এবং ভিত্তিহীন।