মাহবুবে আলম

‘কুমিল্লার মামলায় জামিন না নিলে কারামুক্ত হতে পারবেন না খালেদা জিয়া’

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নাশকতার মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জামিন না নিলে খালাস (মুক্তি) পাওয়ার কোনো অবকাশ নেই বলে মনে করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

আজ মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মত দেন।

২৮ মার্চ খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে, কিন্তু তার আইনজীবীরা বলছেন এ মামলায় (অরফানেজ মামলা) জামিন হওয়ার কারণে খালেদা জিয়ার মুক্তি পেতে আর কোনো বাধা নেই সেই ক্ষেত্রে আপনি কি বলবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘না না, কুমিল্লায় যে গাড়ি পোড়ানোর মামলা, মানুষ হত্যার মামলা এবং সেই সমস্ত মামলায় তাকে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এসব মামলায় তিনি আসামি। এখন কাস্টডি ওয়ারেন্ট দেওয়ার অর্থই হলো সেই মামলাতেও তিনি এখন অবরুদ্ধ আছেন ধরতে হবে। তিনি সেই মামলায় জেলে আছেন বলে ধরতে হবে। কাজেই ওই মামলাতে তাকে জামিন না নিয়ে খালাস হওয়ার কোনো অবকাশ নেই বলে আমি মনে করি।’

২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় হরতাল-অবরোধের সময় কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী আইকন পরিবহনের একটি বাসে পেট্রোল বোমা মারলে ৮ জনের মৃত্যু হয়। এ অভিযোগে দায়ের করা মামলায় চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই নুরুজ্জামান হাওলাদার বিএনপি-জামায়াতের ৫৬ জনের নাম উল্লেখ করে, আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি দেখিয়ে মামলা করেন।

মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে ওই বছরের ৬ মার্চ কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে খালেদা জিয়াসহ মোট ৭৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। মামলা চলাকালে ৩ জনের মৃত্যু হয়।

এদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া চার মাসের জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন)। এর শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত। মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) উভয় পক্ষের শুনানি শেষে চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এই আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহাবুবে আলম। তার ভাষ্য, ‘আজ শুনানিতে আদালতে বলেছি, এর আগে বিচারিক আদালতে বেশকিছু বিবেচনায় খালেদা জিয়াকে কম সাজা দেওয়া হয়েছে। তাই একই বিষয় বিবেচনা করে তার জামিন না দেওয়ার বিষয়ে আদালতে শুনানি করেছি।’