হাইকোর্ট এলাকায় কোটা বিরোধীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ

রাজধানীর হাইকোর্ট মোড়ে কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিসিএসসহ বিভিন্ন সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৬৩ জন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়।

আজ বুধবার (১৪ মার্চ) সকাল ১১টা থেকে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে হাইকোর্ট মাজারের সামনে রাস্তার একপাশ বন্ধ করে আন্দোলন করছিলেন কোটা বিরোধীরা।

জানা গেছে, ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের’ ব্যানারে আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত বিভিন্ন প্লাকার্ড হাতে নিয়ে স্লোগান দিচ্ছিল। তারা সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য যাচ্ছিলেন। পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর থেকে শিক্ষাভবনের দিকে আসার সড়কে হাইকোর্ট মোড়ে তাদের আটকে দেয় পুলিশ। পরে সেখানেই অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা।

স্লোগান দেওয়ার এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় পুলিশের টিয়ারশেল নিক্ষেপে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। তারা হাইকোর্টের আশেপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ- কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার জানান, হাইকোর্টের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় তারা অবস্থান নেয়। তাদের বার বার রাস্তার একপাশে অবস্থান নিতে বলা হলেও তারা রাস্তা ছাড়েনি। সে কারণে টিয়ারশেল ছুড়ে তাদেরকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ সময় কয়েকজনকে আটকের বিষয়টি জানালেও নির্দিষ্ট সংখ্যা জানাতে পারেননি ডিসি।

বাংলাদেশে চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৫৬ শতাংশ কোটা সংস্কার করে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।