জাল সনদে সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী, সদস্যপদ বাতিল করল বার সমিতি

জাল সনদ দিয়ে বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্য হওয়া লুৎফুন নাহার নামের এক নারীর সদস্যপদ স্থায়ীভাবে অকার্যকর ও বাতিল করা হয়েছে।

সম্প্রতি সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এ, এম, মাহবুব উদ্দিন খোকন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সমিতির এ সিদ্ধান্ত চিঠির মাধ্যমে লুৎফুন নাহারকে জানানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, ‘আপনার এলএলবি সার্টিফিকেট সঠিক নয় মর্মে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় হতে ইস্যুকৃত চিঠির প্রেক্ষিতে সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আপনার সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্যপদ স্থায়ীভাবে অকার্যকর ও বাতিল করা হলো।’

চিঠিতে লুৎফুন নাহারকে সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতি কর্তৃক ইস্যুকৃত পরিচয়পত্র জমা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলে সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতি।

জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৮ আগষ্ট বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) থেকে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল বরাবর একটি চিঠি আসে। চিঠিতে বলা হয়, লুৎফুন নাহার নামে সুপ্রীম কোর্টের এক আইনজীবী বিসিআইসিতে আইনজীবীর প্যানেল ভুক্তির জন্য আবেদন করেন। কিন্তু তার সনদে অস্পষ্টতা পরিলক্ষিত হলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ করা হয়। সেখানে বেসরকারিভাবে যাচাই করলে সনদের সাথে সাথে কোন সামঞ্জস্যতা নাই মর্মে জানানো হয়।

বিসিআইসি বার কাউন্সিলকে জানান, উল্লেখিত সনদ দিয়ে লুৎফুন নাহার বার কাউন্সিল থেকে আইনজীবীর সনদ নিয়েছেন, বিষয়টি তদন্ত হওয়া প্রয়োজন এবং ভুয়া সনদ দাখিল করে আইনজীবী হয়েছেন প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন।

ভুয়া সনদে দেখা যায়, লুৎফুন নাহার ২০০৩ সালে বঙ্গবন্ধু ল কলেজ থেকে ব্যাচেলর অব ল তৃতীয় শ্রেণীতে পাশ করেছেন। যার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ছিল-১০৫২৬২ এবং রোল নাম্বার ছিল-৫৩।

সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতি থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকট সনদের সঠিকতার বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গত ১ ফেব্রুয়ারি সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেকর্ড অনুযায়ী উল্লেখিত তথ্য সঠিক নয় এবং এরকম সনদপত্র ও নম্বরপত্র জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইস্যু করা হয় নাই।