সুপ্রিমকোর্ট বার নির্বাচন: ভোটগ্রহণ সম্পন্ন, ভোট দিয়েছেন ৪৮৬৫ জন

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০১৮-১৯ সালের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন। দু’দিন ব্যাপী এ নির্বাচনে সর্বমোট ৬১২২ জন ভোটারের মধ্যে ৪৮৬৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) সকাল দশটা থেকে এ নির্বাচনের দ্বিতীয় ও শেষ দিনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়। সমিতির শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ দুপুরে এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। নির্বাচনের প্রথম দিনে গতকাল বুধবার (২১ মার্চ) ভোট পড়েছে মোট ২৬০৯টি।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যকরী সদস্য মোহাম্মদ হাসিবুর রহমান ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নির্বাচনে যথারীতি লড়াই হচ্ছে সরকার সমর্থক এবং বিএনপি সমর্থক আইনজীবী প্রার্থীদের মধ্যে। ১৪টি পদের বিপরীতে মোট প্রার্থী হচ্ছেন ৩৩ জন।

নির্বাচনে সরকার সমর্থক আইনজীবীদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সভাপতি মনোনয়ন দিয়েছেন পরিষদের আহ্বায়ক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনকে। যিনি রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য।

অন্যপদের প্রার্থী হচ্ছেন, সম্পাদক পদে শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ, সহ সভাপতি আলাল উদ্দীন ও ড. শামসুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ ড. ইকবাল করিম, সহ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক ও ইয়াদিয়া জামান, সদস্য ব্যারিস্টার আশরাফুল হাদী, হুমায়ুন কবির, চঞ্চল কুমার বিশ্বাস, শাহানা পারভীন, রুহুল আমিন তুহিন, শেখ মোহাম্মদ মাজু মিয়া, মুজিবর রহমান সম্রাট।

অন্যদিকে বিএনপি সমর্থক প্যানেল সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছে। সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব।

এ প্যানেলে অন্য পদে প্রার্থী হচ্ছেন, সহ সভাপতি ড. গোলাম রহমান ভুইয়া, গোলাম মোস্তফা, কোষাধ্যক্ষ নাসরিন আক্তার, সহ সম্পাদক কাজী জয়নুল আবেদীন, আনজুমান আরা বেগম, সদস্য ব্যারিস্টার সাইফুর আলম মাহমুদ, জাহাঙ্গীর জমাদ্দার, এমদাদুল হক, মাহফুজ বিন ইউসুফ, সৈয়দা শাহীন আরা লাইলী, আহসান উল্লাহ ও মোহাম্মদ মেহদী হাসান।

বিএনপি সমর্থকদের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার প্যানেল ঘোষণার পর তৈমুর আলম খন্দকারের নেতৃত্বে পাল্টা প্যানেল ঘোষণা করা হয়। পরে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হস্তক্ষেপে ওই প্যানেলের সবাই জমির উদ্দিন সরকারের ঘোষিত প্যানেলে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্তকরেন।

নির্বাচনে মূল লড়াই হবে এ দুই প্যানেলের মধ্যে।

এছাড়াও সভাপতি পদে ড. ইউনুছ আলী আকন্দ ও শাহ খসরুজ্জামান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সহ-সভাপতি পদে আব্দুল জব্বার ভূইয়া, সম্পাদক পদে মোহাম্মদ আবুল বাসার ও সদস্য পদে তাপস কুমার দাস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সাত সদস্যের নির্বাচন উপ-কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মসিউজ্জামান।