সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের (ফাইল ছবি)

সুপ্রিম কোর্ট বারে ভরাডুবি: কোন্দলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি

সদ্য সমাপ্ত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও হেরেছে আওয়ামী লীগপন্থী প্যানেল। এবার সমিতির ১৪টি পদের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকরা জিতেছেন চারটি পদে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বাকি ১০টিতে জিতেছেন বিএনপিপন্থীরা। আগের বছর আওয়ামী লীগ পন্থীরা জিতেছিলেন ছয়টি পদে, আর বিএনপিপন্থীরা জিতেছিলেন আটটি পদে। এই নির্বাচনের পর পরাজয়ের দায় নিয়ে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিবের পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস। যদিও পরে সে পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়নি।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের ভরাডুবির কারণ হিসেবে মূলত প্রার্থী নির্বাচনে স্বজনপ্রীতি, যোগ্যতর প্রার্থী বাছাইয়ে ব্যর্থতা, সাধারণ আইনজীবীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ না রাখায় দূরত্ব তৈরি হওয়া, জুনিয়র আইনজীবীদের সাথে ব্যবহারের মাত্রা ঠিক না রাখা, সমন্বয়হীনতার অভাব, সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার পদত্যাগ, দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিতের বিষয়সহ নানা কারণ উঠে এসেছে। তবে এসব কারণের পাশাপাশি দলের নীতি নির্ধারকদের নজরে এসেছে দলীয় কোন্দলের বিষয়টিও।

ইতোমধ্যে সরকারপন্থী যেসব আইনজীবী সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী লীগপন্থী প্যানেলের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তবে কোন ধরনের ব্যবস্থা আসছে, সেটা নিশ্চিত না করলেও  কাদের জানান, দলের নির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এই আলোচনায় অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা।

এর আগেও সুপ্রিমকোর্ট বারে আওয়ামী লীগপন্থী প্যানেলের হারের পেছনে কোন্দলকে দায়ী করা হচ্ছিল। গত কয়েক বছর ধরেই ভোটের আগে এই কোন্দল নিয়েই বেশি কাজ করতে হয়েছে প্রার্থীদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যারা দলীয় প্রার্থী বিরুদ্ধে যারা কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আগামী ৩১ মার্চ দলের কার্যনির্বাহী বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। কাউকে কোন প্রকারের ছাড় দেয়া হবে না।’

কাদের বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচন ছাড়া কক্সবাজার, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন জেলার বার এসোসিয়েশনের নির্বাচনে আমাদের মনোনীত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। কিন্তু এখানে আমরা হেরে গেছি।’

কোন্দল না থাকলে বিভিন্ন জেলা আইনজীবী সমিতির মতো দেশের সর্বোচ্চ আদালতেও আওয়ামী লীগ সমর্থকরাই জিতত বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের।