‘সান্ধ্য কোর্স’ বন্ধ না করা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা, জানতে চান হাইকোর্ট
হাইকোর্ট

বিএনপি নেতা আলাল, বাবু, রাজিব ও রাজের গ্রেপ্তার কেন বেআইনি নয়

আপিল বিভাগের নির্দেশনা উপেক্ষা করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, ছাত্রদল সভাপতি রাজিব আহসান ও ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদল সভাপতি মিজানুর রহমান রাজের গ্রেফতার কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

আজ সোমবার (২ এপ্রিল) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ সংক্রান্ত আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এ রুল জারি করেন।

আলাল, বাবু, রাজিব ও রাজের পক্ষে এদিন শুনানি করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও ব্যারিস্টার নওশাদ জামিল এবং রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোতাহার হোসেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশপ্রধানকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচি পালনের সময় দলটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে আটক করে পুলিশ।

গত ৬ মার্চ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি )। এদিন জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে সচিবালয় বরাবর ফটকের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি চলছিল। ৭ মার্চ তার বিরুদ্ধে সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

গত ০৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর নয়াপল্টনের স্কাউট মার্কেটের সামনে বিক্ষোভ মিছিল থেকে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাজিব আহসানসহ কমপক্ষে ১৫ জনকে আটক করে পুলিশ। পরবর্তীতে তাকে একাধিকবার রিমান্ডে নেয়া হয়।

এছাড়া গত ৮ মার্চ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ধরেও আটক এড়াতে পারেননি ছাত্রদল উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান রাজ। বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এদিন প্রেস ক্লাবে দলটির অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এ সময় তাকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে নেয়া হয়।

বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সংগঠনের নেতাদের গ্রেফতার প্রসঙ্গে ২৭ মার্চ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সচিবালয়ে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।