বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত

কোটা প্রথা সংস্কারের রিট খারিজের বিরুদ্ধে আপিল

সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথার সংস্কার চেয়ে করা রিট আবেদন খারিজ করে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে।

আজ বুধবার (৪ এপ্রিল) সকালে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আপিল দায়ের করা হয়েছে।

এ বিষয়ে রিটকারীদের আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূইয়া বলেন, ‘হাইকোর্টের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছি। আজ (বুধবার) দুপুরেই চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।’

এর আগে গত ৫ মার্চ কোটা প্রথা সংস্কার চেয়ে করা রিট আবেদনটি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। শুনানি নিয়ে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আনিসুর রহমান মীর, ঢাকার কুমিল্লা সাংবাদিক সমিতির সদস্য সচিব ও বাসসের সিনিয়র রিপোর্টার দিদারুল আলম এবং দৈনিক আমাদের অর্থনীতি পত্রিকার সিনিয়র সাব-এডিটর আবদুল ওয়াদুদ রিট আবেদনটি করেছিলেন।

রিট আবেদনে বলা হয়েছিল, ১৯৭২ সালের ৫ নভেম্বর এক নির্বাহী আদেশে সরকারি, আধা-সরকারি, প্রতিরক্ষা এবং জাতীয়করণকৃত প্রতিষ্ঠানে জেলা ও জনসংখ্যার ভিত্তিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা এবং ১০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের জন্য কোটা পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়।

পরে বিভিন্ন সময়ে এই কোটা পদ্ধতির সংস্কার, পরিমার্জন ও পরিবর্তন করা হয়। বর্তমানে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনি ৩০ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা কোটা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য ৫ শতাংশ কোটা বরাদ্দ আছে।

সব মিলিয়ে শতকরা ৫৬ ভাগ কোটা পদ্ধতি রয়েছে। বর্তমানে দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ৩০ লাখ। এর মধ্যে ৪৭ শতাংশ স্নাতক ডিগ্রিধারী।