৬৫ বছরের পুরনো মামলার রায় দিয়ে বিচারপতি বললেন, ‘তখন জন্মই হয়নি আমার’!
কলকাতা হাইকোর্ট

আইনজীবীদের দীর্ঘ কর্মবিরতি শেষে সোমবার কাজ শুরু কলকাতা হাইকোর্টে

 

আইনজীবীদের দীর্ঘ ৬৯ দিনের কর্মবিরতির পর অবশেষে চেনা ছন্দে ফিরতে চলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামীকাল সোমবার (৩০ এপ্রিল) থেকে ফের নিয়মমাফিক শুরু হবে আদালতের কাজকর্ম ৷শুধু আদালতের স্বাভাবিক কাজকর্মই শুরু হওয়া নয় ৷একইসঙ্গে আরও নতুন ৪ জন বিচারপতি কাজে যোগ দেবেন ৷

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে আইনজীবীদের টানা কর্মবিরতির জেরে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল আদালত চত্বর ৷বন্ধ ছিল এজলাস ৷বিচারের আশায় বারবার আদালতে এসেও ব্যর্থ হয়েছেন বিচারপ্রার্থীরা ৷ কিন্তু সেই সমস্ত সমস্যারই সমাধান হতে চলেছে সোমবারই ৷ স্থায়ী প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করা হয়েছে ৷ এর পাশাপাশি ৪ জন নতুন বিচারপতিরও সোমবারই শপথ নিতে পারেন বলে জানা গিয়েছে ৷ এঁরা হলেন অমৃতা সিনহা, জয় সেনগুপ্ত, বিশ্বজিৎ বসু ও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৷

দীর্ঘ টালবাহানার পর সমস্যা কাটাতে সক্রিয় হয় সুপ্রিম কোর্ট এবং কেন্দ্রীয় সরকার। দিল্লিতে শীর্ষ আদালত এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বৈঠকেও সমাধানসূত্র মেলেনি। হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির অনুরোধের পরও গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশন কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর ছবিটা বদলাতে থাকে।

কর্মবিরতি প্রত্যাহার নিয়ে আইনজীবীদের বিভাজন গত বৃহস্পতিবারই প্রকাশ্যে চলে এসেছিল। আইনজীবীদের একাংশের মতে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম পদ্ধতির জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দেরি হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টে অচলাবস্থার জেরে আখেরে ভুগেছেন বিচারপ্রার্থীরা। আজ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টে ২.২ লক্ষ মামলা ঝুলে রয়েছে। গড়ে প্রতিদিন ২৪০টি মামলার নিষ্পত্তি হয়। ৬৯ দিন কাজ হলে আরও ১৬,৫৬০টি মামলার ফয়সালা হত ।

উল্লখ্য, শুন্য পদে বিচারপতি নিয়োগের জন্য প্রধান চারদফা দাবিতে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কর্মবিরতি শুরু করেন হাইকোর্টের বিচারপতিরা ৷হাইকোর্টে মোট বিচারপতির ৫০ শতাংশ আসনে বিচারক নিযুক্তের জন্য বিচারপতিরা আন্দোলন শুরু করেন ৷অবশেষে তাদের দাবি পূরণ হলেই আন্দোলন প্রত্যাহার করেন বিচারপতিরা ৷ পাশাপাশি গত বৃহস্পতিবার কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হবে নাকি আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে সেই নিয়ে বৈঠক করেছিলেন বার অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা ৷ সেখানেই একপক্ষ আন্দোলন প্রত্যাহারের দাবিতে সমর্থন যোগালেও অপরপক্ষ বেঁকে বসে ৷ যার জেরে দু’পক্ষ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে ৷