বার কাউন্সিল নির্বাচনে সমমনা আইনজীবী সংসদের প্রত্যাশা

আইনজীবীদের সনদসহ পেশাগত বিষয়ের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আসন্ন ১৪ মে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে প্রার্থীদের কাছে প্রস্তাব আকারে বেশ কিছু প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে সমমনা আইনজীবী সংসদ, চট্টগ্রাম। চট্রগ্রাম বারের নির্বাচনে প্রতিবছর নিয়মিতভাবে অংশগ্রহণ করেছে আইনজীবীদের এই প্যানেলটি। উক্ত নির্বাচনগুলোতে বিভিন্ন সময়ে সভাপতি, সাধারন সম্পাদক, সহ সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদসহ কমিটিতে নিজেদের প্রার্থী জয়লাভ করেছে।

যদিও বার কাউন্সিল নির্বাচনে কখনো কোনো প্রার্থী দেয়নি সমমনা আইনজীবী সংসদ। কিন্তু সাধারণ আইনজীবীদের স্বার্থরক্ষায় অতীতের মতোই আইনজীবীদের প্রত্যাশা ও দাবী নিয়ে সোচ্চার আছে উল্লেখ করে সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. আখতার কবির চৌধুরী স্বাক্ষরিত ‘সমমনা আইনজীবী সংসদ, চট্টগ্রাম এর প্রত্যাশা ‘ শীর্ষক এক বার্তায় বলা হয়, ‘প্রতিবারই এ নির্বাচনে বিভিন্ন প্যানেল থেকে নানাবিধ প্রতিশ্রুতি আসে। কিন্তু নির্বাচন পরবর্তী সময়ে প্রতিশ্রুতি সমূহ বাস্তবায়নে কার্যকর কোন পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয় না। তাছাড়া বার কাউন্সিল নির্বাচনে দলীয় প্রভাব থাকায় সাধারণ আইনজীবীদের দাবী ও প্রত্যাশাগুলো উপেক্ষিত থেকে যায়। এ অবস্থায় আইনজীবীদের প্রত্যাশা ও দাবী আদায়ে সোচ্চার আছে সমমনা আইনজীবী সংসদ।’

উল্লেখিত বিষয়ে সোচ্চার হওয়ার জন্য আইনজীবীদেরকেও আহব্বান জানিয়ে উক্ত প্রত্যাশার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়; অধস্থন আদালতের বিজ্ঞ বিচারকদের বিচারিক কাজে সরকারী ও রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ মুক্ত রাখতে বার কাউন্সিল কার্যকর পদক্ষেপ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। বিচার বিভাগীয় স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রতিষ্ঠার দাবী কার্যকরে দৃশ্যবান বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখা। প্রত্যেক প্রশাসনিক বিভাগে হাইকোর্ট এর সার্কিট বেঞ্চ স্থাপনের সাংবিধানিক অঙ্গীকার কার্যকরে আন্তরিক উদ্যোগ গ্রহণ। প্রত্যেক বিভাগীয় শহরে বার কাউন্সিলের আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত এবং পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি লাঘবে এডভোকেটশীপ পরীক্ষা অভিন্ন প্রশ্নপত্রে আঞ্চলিক ভাবে নেয়ার ব্যবস্থা করা। প্রতি বছর এডভোকেটশীপ পরীক্ষা নেয়া এবং ফলাফল ৩ (তিন) মাসের মধ্যে প্রকাশের ব্যবস্থা করা। বিজ্ঞ আইনজীবীদের বার কাউন্সিল থেকে মৃত্যু পরবর্তী পাওনা মৃত্যুর ১(এক) মাসের মধ্যে পরিশোধ নিশ্চিত করা। সরকারী আইন কর্মকর্তা নিয়োগে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার মূল্যায়নে দল নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে বার কাউন্সিলের সক্রিয় ভূমিকা রাখা। অবিলম্বে এটর্নী সার্ভিস কমিশন গঠণে কার্যকর ভূমিকা পালনে প্রতিশ্রুতি চাই। প্রত্যেক জেলা শহরে শ্রম আদালত প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করতে হবে। অভিজ্ঞ বিজ্ঞ আইনজীবীদের মধ্য হইতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নিয়োগের (পূর্বতন ব্যবস্থা পুনঃ চালু) কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। এবং বার কাউন্সিলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দূর্নীতি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।

রায়হান ওয়াজেদ/চট্টগ্রাম প্রতিনিধি