পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান

অভিযোগ প্রমাণ হলে ছাড় পাবেন না ডিআইজি মিজান: দুদক

 

ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে পুলিশের আলোচিত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অভিযোগ প্রমাণ হলে ছাড় পাওয়ার কোনও সুযোগ নেই।

আজ বৃহস্পতিবার (৩ মে) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রায় সাত ঘণ্টা মিজানুরকে জিজ্ঞাসাবাদের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন দুদক সচিব ড. মো. শামসুল আরেফিন।

এর আগে, সকাল সোয়া ৯টার দিকে মিজানুর দুদকের সেগুনবাগিচার প্রধান কার্যালয়ে হাজির হলে সাড়ে ৯টা থেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করেন অভিযোগ তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।

বিকেল ৪টার দিকে দুদক কার্যালয় থেকে বের হয়ে সেখানে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের মিজানুর বলেন, ‘একজন ভদ্রমহিলার সঙ্গে কথোপকথন হয়েছিল, সেজন্য আমি সরি। ট্যাক্স ফাইলের বাইরে আর কোনও সম্পদ নেই। পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা সম্পদ সম্পর্কে কিছু বলবো না। মৌলভীবাজারে আসিফ আলী নামে এক ব্যক্তির নামে যে বাগানবাড়ি আছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানতে চেয়েছেন, আমি সে বিষয়ে খোঁজ নিতে বলেছি।’

এরপর দুদক সচিব শামসুল আরেফিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদের খোঁজ পেয়েই আমরা তাকে ডেকেছি। তিনি তার ট্যাক্স ফাইল ও চাহিদা মতো কাগজপত্র নিয়ে এসেছেন। আরও কিছু কাগজ চাওয়া হয়েছে। তিনি আগামী রোববার (৬ মে) সেসব কাগজ নিয়ে আবার আসবেন। প্রয়োজনে তার পরিবারের সদস্য বা স্বজন, যেখানে যেখানে টাকা ট্রান্সফার হয়েছে, তাদেরও ডাকা হবে। আইনে সে বিধান আছে। অভিযোগ প্রমাণ হলে ছাড় পাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। আমরা তার বিষয় তদন্ত শুরু করেছি।’

গত ২৫ এপ্রিল দুদক থেকে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বরাবর চিঠি পাঠিয়ে মিজানুরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়।

মিজানুর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত জানুয়ারির শুরুর দিকে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদরদফতরে সংযুক্ত করা হয়।

মিজানুরের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রী মরিয়ম আক্তারকে গ্রেপ্তার করানোর অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া নারী নির্যাতনেরও অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। সবশেষ মিজানুরের বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ তোলেন এক সংবাদ পাঠিকা। এসব অভিযোগের প্রমাণ পায় পুলিশের তদন্ত কমিটি।