কুষ্টিয়ায় অ্যাসিড নিক্ষেপের মামলায় ৪ জনের কারাদণ্ড

 

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার গোপালপুরে সোনিয়া নামে এক কলেজছাত্রীসহ পরিবারের তিন সদস্যের ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপের দায়ে চারজনের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এরমধ্যে একজনের ১৪ বছর ও তিনজনের সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

আজ সোমবার (৭ মে) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরুপ কুমার গোসামী এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বৈদ্যনাথপুর গ্রামের মাসুদ আলীর ছেলে রাজীব (২২), আশরাফুলের ছেলে রতন (২০), গোপালপুর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে আল আমীন (২৩) এবং আমজাদ মোল্লার ছেলে জহুরুল ইসলাম বাবু (২৭)।

কুষ্টিয়া আদালতের সরকারি কৌশুলী অনুপ কুমার নন্দী গণমাধ্যমকে জানান, সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের কলেজছাত্রী সোনিয়া কলেজে যাওয়া আসার সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে রাজিব নানাভাবে উত্যক্ত করতেন। এরপর রাজিব সোনিয়াকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। সোনিয়া প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় রাজিব ২০১৪ সালের ৫ জুলাই রাতে সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে সোনিয়াদের বাড়িতে গিয়ে জানালার ফাঁক দিয়ে সিরিঞ্জ ব্যবহার করে ঘুমন্ত সোনিয়ার ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপ করেন। এতে সোনিয়া ও একই বিছানায় ঘুমিয়ে থাকা তার ছোট ভাই তিতুমীর ও ফুফু সালেহা অ্যাসিড দগ্ধ হয়।

এ ঘটনায় ওই বছরের ৭ জুলাই সোনিয়ার বাবা আয়ুব আলী মণ্ডল বাদি হয়ে আট জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে কুষ্টিয়া ইবি থানায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইন মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।

বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘ শুনানী শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রধান আসামি রাজিবের ১৪ বছরের কারাদণ্ড ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বাকি তিনজনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

তবে রায়ের সময় আদালত প্রাঙ্গনে উপস্থিত মামলার বাদি সোনিয়ার বাবা আয়ুব আলী এবং মা আকলিমা খাতুন এ রায়ে সন্তষ্টু নয় বলে বাংলানিউজকে জানান।

এদিকে আদালতের রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে বলে দাবি করেন কৌশুলী অনুপ কুমার নন্দী।