ভারতের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র

ভারতে প্রধান বিচারপতির ইমপিচমেন্ট নিয়ে আর্জি প্রত্যাহার কংগ্রেসের

 

ভারতের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রকে সরানোর দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। সেই মামলা শোনার জন্য পাঁচ সদস্যের বেঞ্চও গঠন করা হয়। কিন্তু সেই মামলা শীর্ষ আদালতে ওঠার আগেই তা প্রত্যাহার করে নিলেন কংগ্রেসের আইনজীবী কপিল সিব্বল। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার

আবেদন প্রত্যাহারের কারণ জানাতে গিয়ে কপিল সিব্বল জানান, মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের কাছে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। কোন যুক্তিতে তা করা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। এ নিয়ে প্রধান বিচারপতির নির্দেশের প্রতিলিপি দেখতে চান কপিল।

তাঁর দাবি, ‘‘শীর্ষ আদালত তা দেখাতে রাজি না হওয়ায় ওই মামলাটি প্রত্যাহার করা হয়।’’

সরকারি ভাবে কপিল ওই যুক্তি দিলেও কংগ্রেস সূত্রের খবর, বিরোধী সাত দলের মধ্যে মাত্র কংগ্রেসের দুই সাংসদ বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানানোর প্রশ্নে পিছিয়ে আসে অন্য বিরোধী দলেরা। ফলে শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয় কংগ্রেসও।

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির মতে, কংগ্রেস ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করছে। যদি ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য না হয়, তাহলে তা নিয়ে আর্জির পক্ষে সওয়ালও করা যায় না।

এর আগে, রাজ্যসভার কংগ্রেসের দুই সাংসদ প্রতাপ সিংহ বাজওয়া ও অ্যামি ইয়াজ্ঞিক সুপ্রিম কোর্টে আবেদনে জানান, প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের ইমপিচমেন্টের প্রস্তাবে ৫০ জন সাংসদের স্বাক্ষর থাকায় রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের সেই আবেদন খারিজ না করে তা তদন্ত কমিটির কাছে পাঠানো উচিত ছিল। বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেসের দুই সাংসদের হয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বিতীয় সিনিয়র বিচারপতি জাস্তি চেলমেশ্বরের বেঞ্চে আবেদন করেন কপিল সিব্বল। সেই মামলাটির শুনানির জন্য পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করা হয়। সেই বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি বা তাঁর বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহ’ করা সিনিয়র বিচারপতিদের রাখা হয়নি। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে, ‘মাস্টার অব রোস্টার’ প্রধান বিচারপতি এই বেঞ্চ তৈরি না করলে কে করেছেন? আইনজীবী কপিল সিব্বল আবেদন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় মামলাটি খারিজ করে দেয় সাংবিধানিক বেঞ্চ। তবে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ তথ্যের অধিকার আইনে আর্জি পেশ করে জানতে চান, সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠনের প্রশাসনিক নির্দেশ কে দিয়েছেন।

এ দিকে কপিলের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন দুই শীর্ষ আইনজীবী আর পি লুথরা ও অশ্বিনী উপাধ্যায়। তাঁদের যুক্তি, যে সাংসদেরা ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কপিল। যে সাংসদ-আইনজীবীরা ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছেন তাঁদের ওই মামলা লড়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বার অ্যাসোসিয়েশন। তার পরেও কী ভাবে কপিল ওই মামলা লড়েন?