হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার আপিল শুনানিতে প্রস্তুত দুদক

 

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে করা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল শুনানিতে প্রস্তুত রয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। যে আপিল হাইকোর্ট বিভাগে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলেছেন আপিল বিভাগ।

এ মামলায় খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখে আজ বুধবার (১৬ মে) রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

রায়ের পরে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, জামিনের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে ‍দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আপিল খারিজ করে দিয়ে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে মূল আপিল নিষ্পত্তি করতে বলেছেন। এখন আপিল বিভাগের এ রায় পাওয়ার পর আমরা হাইকোর্ট বিভাগে যাবো। সেখানে বলবো সর্বোচ্চ আদালত রায় দিয়েছেন ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করতে। আমরা হাইকোর্ট বিভাগে আপিল শুনানি করতে প্রস্তুত আছি।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি মামলাটিতে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছর কারাদণ্ড হয়। একইসঙ্গে খালেদাপুত্র ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

রায় ঘোষণার ১১ দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রায়ের সার্টিফায়েড অনুলিপি হাতে পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এরপর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ২০ ফেব্রুয়ারি এ আবেদন দায়ের করেন।

১২ মার্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের দেওয়া ওই জামিন স্থগিত চেয়ে পরদিন ১৩ মার্চ আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক। পরে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত এ দুই আবেদনের শুনানির জন্য ১৪ মার্চ দিন ধার্য করেন। এরপর আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদককে জামিনের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে) দায়ের করতে বলে চার মাসের জামিন স্থগিত করেন। পরে দুই পক্ষকে আপিলের অনুমতি দেন। সেই আপিলের ওপর শুনানি শেষে বুধবার রায় দেন আপিল বিভাগ।

এদিকে নিম্ন আদালতের দণ্ডের বিরুদ্ধে ২২ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ এবং অর্থদণ্ড স্থগিত করে নথি তলব করেন আদালত।

এরপর ৭ মার্চ অপর আসামি মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামালের আপিলও শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। ১০ মে আরেক আসামি শরফুদ্দিনের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করা হয়।

খুরশীদ আলম খান বলেন, এই মামলায় দণ্ডিত ছয় আসামির মধ্যে তিনজন কারাবন্দি। বাকিরা পলাতক। এরই মধ্যে কারাবন্দি তিনজনেরই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট।

‘এছাড়া দুদকের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়াতে একটি রিভিশন আবেদন করা হয়েছিল। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেছেন।’

এখন খালেদা জিয়ার আপিলের সঙ্গে বাকি দুই আসামির আপিল ও দুদকের রিভিশনের প্রেক্ষিতে জারি করা রুলের শুনানি একসঙ্গে হবে বলে ‍জানান দুদকের এই কৌঁসুলি।