অ্যাডভোকেট সিরাজ প্রামাণিক

জনস্বার্থে মামলা ও বাস্তবতা: সরল-গরল আলোচনা

সিরাজ প্রামাণিক:

১৯৯২ সালের কথা। বোরহান কবির নামে একজন সাংবাদিক দৈনিক আজকের কাগজে দুর্দান্ত প্রতিবেদন তুলে ধরেন। প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু ছিল বাজারে পাওয়া প্যারাসিটামল সিরাপের বিষাক্ত উপাদান কিভাবে হাজার হাজার শিশুর জীবন বিপন্ন করতে চলেছে। এ রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে অসংখ্য শিশুর জীবন বাঁচাতে হাইকোর্টে জনস্বার্থমূলক একটি মামলা দায়ের হয়। হাইকোর্ট এ মামলায় সরকারের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছিলেন। কিন্তু মামলা নিষ্পত্তির আগেই সরকারের নির্দেশে বিভিন্ন ব্রান্ডের বিষাক্ত সিরাপ বাজার থেকে প্রত্যাহার করা হলে মামলাটি থেমে যায়। জনস্বার্থমূলক মামলাটির আংশিক বিজয় সেসময় অর্জিত হয়েছিল। বিষাক্ত সিরাপের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছিল অসংখ্য শিশুর জীবন। (সৈয়দ বোরহান কবীর বনাম বাংলাদেশ ও অন্যান্য (রিট আবেদন নং ৭০১/১৯৯৩ )

‘জনস্বার্থমূলক মামলা’ শব্দটি ব্যবহার হয় ষাটের দশকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনগত সহয়তা পাওয়ার আন্দোলনটি ছিল সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ, দক্ষ ও অত্যন্ত আগ্রহী কিছু আইনজীবীর প্রচেষ্টার ফসল। ভারতে জনস্বার্থমূলক মামলা ‘সোশ্যাল অ্যাকশন লিটিগেশন’ নামে পরিচিতি। ভারতীয় একটি আদালত মত প্রকাশ করেছেন যে, সাধারণ অর্থে, জনস্বার্থ হলো জনসাধারণের জন্য কল্যাণকর কোন কাজ। [বাবুরাম ভার্মা বনাম উত্তর প্রদেশ (১৯৭১) ২ সার্ব, এলআর ৬৭৪]

কারো মৌলিক অধিকার লংঘিত হলে আমাদের সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগ তা বলবৎ করতে পারে এবং বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনাকে কার্যকর করতে পারে। হাইকোর্ট বিভাগের এই এখতিয়ার কে রীট জারীর এখতিয়ার বলে। অর্থাৎ রিট শুধু মাত্র হাইকোর্ট বিভাগ জারী করতে পারে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৭ থেকে ৪৩ এ উল্লেখিত মৌলিক অধিকার লংঘিত হলে সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদ প্রদত্ত অধিকারবলে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে মৌলিক অধিকার বলবৎ করার জন্য রিট পিটিশন দায়ের করা যায় এবং হাইকোর্ট বিভাগ ১০২ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতা বলে মৌলিক অধিকার বলবৎ করার জন্য কতিপয় আদেশ নির্দেশ জারী করতে পারে, যা রীট নামে পরিচিত।

সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৭ থেকে ৪৩ এ আইনের দৃষ্টিতে সমতা, ব্যক্তি স্বাধীনতা ও জীবনের অধিকার, স্বাধীনতার অধিকার, চলাফেরার অধিকার, সমাবেশের অধিকার, সংগঠনের অধিকার, চিস্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা ও বাক-স্বাধীনতা, পেশা বা বৃত্তির অধিকার, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সম্পত্তির অধিকার, ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার, গ্রেফতার বা আটক সর্ম্পকে রক্ষাকবচ ইত্যাদি অধিকারগুলোকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র রাষ্ট্র এ অধিকারগুলো লংঘন করে, কোনো ব্যাক্তি করে না ।

যদিও ১০২ অনুচ্ছেদ অনুসারে হাইকোর্ট বিভাগ কোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির আবেদনের প্রেক্ষিতে তার মৌলিক অধিকার বলবৎ করণের জন্য যে কোনো ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষকে উপযুক্ত নির্দেশনা বা আদেশ দিতে পারেন। কিন্তু বর্তমানে সুপ্রীমকোর্টের আন্তরিক ও ইতিবাক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে “সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি”-এর অর্থে ব্যাপকতা এসেছে অর্থাৎ রিট মামলা দায়েরের যোগ্যতার পরিধি ব্যাপকভাবে বিস্তৃতি লাভ করেছে। হাইকোর্ট এই রিট বিষয়ে অবারিত ক্ষমতা ব্যাবহার করতে পারে অর্থাৎ বিষয় বিবেচনা করে যেকোনো আদেশ দিতে পারে কোনো কিছুই আদালতকে বারিত করে না ।

এক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা হলো বেসরকারি কোনো সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা বা কর্মচারির বিরুদ্ধে রিট করা যায় না অর্থাৎ প্রাইভেট সংস্থা যদি মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন করে তাহলে তা হবে অপরাধ, তখন রিট মামলা করা যায় না। মামলা করতে হবে দেওয়ানী আদালতে।

১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে প্রথম যে মামলায় “সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি” এর প্রশ্ন উত্থাপিত ও পরীক্ষিত ছিল তা হলো ভারত-বাংলাদেশ সীমানা পুন:নির্ধারণ সংক্রান্ত বেরুবাড়ী মামলা (কাজী মুখলেছুর রহমান বনাম বাংলাদেশ, ২৬ ডি এল আর ১৯৭৪, (এডি) ৪৪।

এই আবেদনটি অসময়োচিত বলে খারিজ হলেও আবেদনকারীর লোকাস স্ট্যান্ডাই স্বীকার করে সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ মত পোষণ করেন। এই উপমহাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে জনস্বার্থ মামলা শুরু হওয়ারও অনেক আগে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট এই উদার দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছিল।

মহিউদ্দিন ফারুক বনাম বাংলাদেশ মামলায় আপীল বিভাগ বলেন- “সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি” কথাটি শুধুমাত্র ব্যক্তিগতভাবে অর্থাৎ প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে বোঝায় না বরং এটা জনসাধারণ পর্যন্ত বিস্তৃত অর্থাৎ জোটবদ্ধ বা সমষ্টিগত ব্যক্তিত্বকে বোঝায়।

একটি উদাহরনের মাধ্যমে জনস্বার্থমূলক মামলা বা জনস্বার্থে মামলা বিষয়টি আরও স্পষ্ট হওয়া যাবে। পরিবেশ সংশ্লিষ্ট জনস্বার্থমূলক মামলার আর একটি উদাহরণ হলো ফ্যাপ ২০ মামলা। ওই মামলায় একটি বিতর্কিত বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের ফলে একটি বিশেষ এলাকার পরিবেশে সম্ভাব্য বিরুপ প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল। পরিবেশগত অধিকার লংঘনের বিরুদ্ধে আদালতের হস্তক্ষেপ প্রার্থনার ক্ষেত্রে জনস্বার্থমূলক মামলা সবচেয়ে উপযোগী পন্থা। কারণ পরিবেশ বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে এলাকার সমগ্র জনগোষ্ঠী দুর্ভোগের স্বীকার হয় কোনো একক বিশেষ ব্যক্তি নয়। এই মামলার মাধ্যমেই বাংলাদেশে পিআইএল-এর আনুষ্ঠানিক বিচার বিভাগীয় স্বীকৃতি মেলে এবং একটি সুসংগঠিত প্রাতিষ্ঠানিক ধারা গড়ে উঠে। বৃহৎ এবং দুর্বল জনগোষ্ঠীর অধিকারের সুরক্ষার ক্ষেত্রে এই তত্ত্বটির প্রথম সফল প্রয়োগ ঘটে আলোচ্য মামলাটিতে।

এছাড়া আদালতের স্ব-প্রনোদিত এখতিয়ার জনস্বার্থমূলক মামলার একটি সুপ্রতিষ্ঠিত বৈশিষ্ট্য। যে কোনো উপায়ে বিচারক এমন কোনো ঘটনা যদি জানতে পারেন যার ফলে জনস্বার্থ লংঘিত হয়েছে বা হচ্ছে, সেক্ষেত্রে তিনি নিজেই সেই লংঘনকারী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একটি মামলা শুরু করতে পারেন। যেমন- রাষ্ট্র বনাম জেলা প্রশাসক, সাতক্ষীরা ও অন্যান্য [৪৫এলআর (১৯৯৩) ৬৪৩] যেখানে হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি একটি সংবাদপত্রের মাধ্যমে নজরুল ইসলামের ১২ বছর ধরে বিনা বিচারে আটক থাকার খবর জানতে পারেন এবং স্ব-প্রনোদিতভাবে তার মুক্তির ব্যাপারে রুল জারী করেন ।

ভারতে হাইকোর্টে বিচারক সংখ্যা ও একজন অতিরিক্ত বিচারকের চাকরি সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে একদল আইনজীবী একটি মামলা করেন। ‘এসপি গুপ্ত বনাম ইউনিয়ন অব ইন্ডিয়া’ মামলায় ওই আবেদনকে আদালত জনস্বার্থমূলক মামলা বলে আমলে নেন। পাকিস্তানে ‘বেনজির ভুট্টো বনাম ফেডারেশন অব পাকিস্তান’ মামলাটিকে সে দেশের আদালত জনস্বার্থমূলক মামলার প্রথম নজির হিসেবে মনে করে থাকেন।

তবে এ মামলার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। জনস্বার্থে মামলা সমষ্টিগত জনগনের সমস্যার সমাধানের একটি কার্যকর পদক্ষেপ হলেও বাস্তবায়নে আদালত কোনো আদেশ পালনের জন্য কোনো কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিতে পারে, বাধ্য করতে পারে না। আবার নির্দেশ পালন না করলে আদালত সর্বোচ্চ আদালত অবমাননার শাস্তি ছাড়া আর কিছুই করতে পারে না। এছাড়া স্বার্থান্বেষী মহলের অপচেষ্টা ও প্রশাসনের অসহযোগিতার কারণে আদেশ নিষেধও কার্যকরও হচ্ছে না।

হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ, খাদ্যের মান বজায় রাখা, ফুড কোর্ট স্থাপনসহ কয়েক দফা জনস্বার্থ নিয়ে মহামান্য হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করে। চূড়ান্ত শুনানী শেষে ২০০৯ সালের ২০ জুন হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ প্রতিটি জেলায় খাদ্য আদালত গঠন এবং খাদ্য বিশেষজ্ঞ নিয়োগের নির্দেশ সংক্রান্ত একটি রায় দেন। তবে দুঃখের বিষয় আজো তা বাস্তবায়নে কোনো অগ্রগতি নেই।

অন্যদিকে জনস্বার্থে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি একটি রিট আবেদন করে। ২০০৯ সালের ১৪ মে হাইকোর্ট যৌন হয়রানি রোধে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে জাতীয় সংসদে এর বিরুদ্ধে কোনো আইন তৈরি না হওয়ার আগ পর্যন্ত এ নীতিমালা মেনে চলতে নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের এ রায় আজো বাস্তবায়ন হয়নি।

ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার কাজ পরিচালনার জন্য সাজসরঞ্জাম সংগ্রহে হাইকোর্ট নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পর কমিটি গঠন করা হলেও কোনো সাজসরঞ্জাম ক্রয় করা হয়নি আজো।

হাইকোর্ট ঢাকার চার নদী বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালুকে বাঁচাতে এক রায় প্রদান করেন। পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষা ও বুড়িগঙ্গাকে বাঁচানোর জন্য হাজারীবাগ থেকে সব ট্যানারি শিল্প সাভার শিল্পাঞ্চলে সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দেয়। হাইকোর্টের এ রায় আজো বাস্তবায়ন হয়নি।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের দেয়া ভাষণের স্থান ও পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণকারী স্থাপনসহ সব ঐতিহাসিক স্থান সংরক্ষণ করতে হবে। মহামান্য হাইকোর্ট কর্তৃক এরকম রায় ঘোষণা হলেও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সে রায়ও ঝুলে রয়েছে।

বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি বন্ধে একটি অভিযোগ কেন্দ্র স্থাপন করতে এবং সিসিটিভি স্থাপনসহ জনস্বার্থে কিছু নির্দেশনা প্রদান করেন হাইকোর্ট। এ রায়টিও বাস্তবায়ন হয়নি।

পাশাপাশি হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এক সুয়োমোটো রুলের নিষ্পত্তি করে ঘোষিত এক রায়ে বলা হয়, মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৫৩-এর ৮৫ ধারার অষ্টম তফসিলে বর্ণিত গতিসীমা অনুযায়ী সব মোটরযানের গতি সীমিত রাখার জন্য ত্বরিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। গতি নিয়ন্ত্রণের আইন না মানা হলে এবং গতিসীমা বহির্ভূতভাবে গাড়ি চালালে মোটর ভেহিকলস অর্ডিন্যান্সের ১৪২ ধারা অনুযায়ী শাস্তি প্রদান করতে হবে। সে রায় বাস্তবায়নও সুদূরপরাহত।

ফতোয়া অবৈধ ঘোষণা করে ২০১১ সালের ১২ মে রায় দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। বহুল আলোচিত ওই মামলায় দেশের প্রখ্যাত সব আলেম, মুফতিসহ সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবীরা অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) হিসেবে তাদের মতামত দিয়েছিলেন। রায়ে বলা হয়, কারো ব্যক্তিগত বিষয়ে ফতোয়া দিয়ে কাউকে শাস্তি দেওয়া যাবে না। অথচ রায় ঘোষণার পর গত ৭ বছরেও বন্ধ হয়নি গ্রাম্য সালিশে ফতোয়ার মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া। সর্বোচ্চ আদালতের রায়ও মানা হচ্ছে না।

এমনিভাবে ভারতে বন্দি বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনা, কোরবানির বর্জ্য অপসারণ, হাজারীবাগের ট্যানারি অপসারণ, ঢাকা শহরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, ঢাকার বাড়িভাড়া আইনের যথাযথ প্রয়োগ, পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা, ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন, পতিতাদের পুনর্বাসন, কক্সবাজার ও কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত এলাকা জরিপ এবং তা সংরক্ষণের নির্দেশসহ জনস্বার্থের মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া অসংখ্য নির্দেশ এখনো উপেক্ষিত।

এভাবে উচ্চ আদালতের দেয়া রায় দীর্ঘদিন ধরে বাস্তবায়ন না হওয়ায় সরকার সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হয়েছে। সরকারকে কথায় নয় বরং কাজে প্রমাণ করে দেখাতে হবে তারা রায় বাস্তবায়নে আগ্রহী। পাশাপাশি সরকারের বিকল্পের সন্ধান করা দরকার। বিশেষ করে উচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়নে সরকারের পৃথক সেল তৈরি করা উচিত। যাতে জনস্বার্থে প্রদত্ত রায়ের মধ্যে কোনগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে না তা খতিয়ে দেখতে ওই সেল কাজ করতে পারে।

লেখক: বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী, আইন গ্রন্থ প্রণেতা, গবেষক ও সম্পাদক-প্রকাশক ‘দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল’।