‘বন্দুকযুদ্ধের নামে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে’

 

মাদক ব্যবসায়ীসহ সন্ত্রাসীদের ধরে ক্রসফায়ারের নামে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন মানবাধিকারকর্মী ও ট্রান্সপারেন্সি বাংলাদেশের (টিআইবি) ট্রাস্টি সুলতানা কামাল। তিনি বলেন, ‘জনগণের টাকায় কেনা অস্ত্রের বেআইনি ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।’

আজ সোমবার (২১ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মিট দ্য প্রেস’এ তিনি এসব কথা বলেন। সেন্টার ফর সোশ্যাল অ্যাকটিভিজম, নেটওয়ার্ক অব নন-মেইনস্ট্রিম মারজিনালাইজড কমিউনিটিস, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যা-রিফর্ম এ ডেভেলপমেন্ট এবং কাপেং ফাউন্ডেশন এ আয়োজন করেছিল।

সুলতানা কামাল বলেন, ‘দেশে ক্রমাগতই বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটেই চলেছে, এটা বড়ই উদ্বেগের বিষয়। মাদক ব্যবসায়ীসহ যেকোনও সন্ত্রাসীকে এভাবে ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করা মানবাধিকার লঙ্ঘন। যেকোনও অন্যায় অপরাধকে বিচারের আওতায় এনে তার শাস্তি দেওয়া উচিত। অথচ সেটা হচ্ছে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘জনগণ এভাবে হত্যাকাণ্ড দেখতে চায় না। তাই যদি হবে তাহলে দেশে আইন আদালত কেন। জনগণের টাকায় কেনা অস্ত্রকে এভাবে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা বেআইনি। অপরাধীদেরকে আটক করে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক।’

সেন্টার ফর সোশ্যাল অ্যাকটিভিজমের সমন্বয়কারী লিসা হায়াৎ তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘জাতিসংঘের সর্বজনীন পুনর্বীক্ষণ প্রক্রিয়ার (ইউপিআর)আওতায় গত ১৪ মে জেনেভায় বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। সেখানে ১০৫টি দেশ বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে ২৫২টি সুপারিশ করেছে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে অগ্রগতির জন্যও প্রশসাংও করেন তারা। তবে এসবের তুলনায় সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের বিষয়গুলো ছিল ব্যাপক।’