কক্সবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি

সংসদ সদস্য বদির দুর্নীতি মামলায় দ্রুত আপিল শুনানি চায় দুদক

 

অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় তিন বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত কক্সবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে দ্রুত আপিল শুনানি করতে চায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এজন্য আপিলের পেপারবুক প্রস্তুতে (আপিল শুনানির জন্য প্রস্তত করা) আবেদন করেছে দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাটি।

বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের বেঞ্চে এ জন্য আবেদনপত্র দিয়েছেন বলে জানান দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

আইনজীবী খুরশীদ আলম খান গণমাধ্যমকে বলেন, পেপার বুক প্রস্তুতের জন্য আবেদন করেছি। বুধবার (২৩ মে) সেকশন থেকে ফাইল আসেনি। পেপার বুক প্রস্তুত হয়ে গেলে আমরা দ্রুত আপিল শুনানি করতে তৈরি আছি।

এ মামলায় ২০১৬ সালের ২ নভেম্বর সম্পদের তথ্য গোপনের দায়ে আবদুর রহমান বদিকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। একই সঙ্গে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিনমাসের কারাদণ্ডাদেশও দেওয়া হয়।

তবে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের ধারাটি আদালতে প্রমাণিত হয়নি এমপি বদির বিরুদ্ধে।

বিচারিক আদালতের রায়ের যে অংশ প্রমাণিত হয়নি সে অংশের বিরুদ্ধে ওই বছরের ১৭ নভেম্বর হাইকোর্টে আপিল করে দুদক। তবে এর সাতদিন আগে বিচারিক আদালতের দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে ১০ নভেম্বর আব্দুর রহমান বদি হাইকোর্টে আপিল করেন।

২০১৪ সালের ২১ আগস্ট এমপি বদির বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক আবদুস সোবহান। ২০০৮ ও ২০১৩ সালে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে সম্পদের তথ্য গোপনপূর্বক মিথ্যা তথ্য প্রদান ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ মামলা করা হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া তার হলফনামার সূত্র ধরে অনুসন্ধানে দেখা যায়, আব্দুর রহমান বদি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৯ টাকা মূল্যমানের সম্পদ গোপন করে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। এছাড়া অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের বৈধতা দেখানোর জন্য কম মূল্যের সম্পদ ক্রয় দেখিয়ে ১ কোটি ৯৮ লাখ ৩ হাজার ৩৭৫ টাকা বেশি মূল্যে বিক্রি দেখানোর অভিযোগে এ মামলা হয়।

অভিযুক্তের সম্পদ অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির কারণ খতিয়ে দেখতে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তারা রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানি, সংশ্লিষ্ট জেলা রেজিস্ট্রার অফিস, এনবিআর, বিআরটিএ, রাজউক, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি, রিহ্যাব, ব্যাংক-বিমাসহ অন্যান্য অফিসে অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করে সম্পদের হিসাব বের করেছেন। পাশাপাশি অভিযুক্তের নিজ নির্বাচনী এলাকায় সরেজমিনে পরিদর্শন করেন তদন্ত কর্মকর্তারা।