বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের সভাপতিকে ‘অব্যাহতি’

দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক ও সভাপতি পদে থাকা ৪৭ বছর বয়সী অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম টিটুকে ‘অব্যাহতি’ দেয়া হয়েছে । মঙ্গলবার (৫ জুন) সংগঠনের এক বর্ধিত সভা শেষে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নোমান হোসাইন তালুকদার।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কেন্দ্র ও বিভিন্ন ইউনিটের প্রায় ৫০০ প্রতিনিধির অংশগ্রহণে ১ জুন অনুষ্ঠিত এক বর্ধিত সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভাপতি পদে থাকা টিটু ১৭ বছরের মধ্যে গত দুই বছর যাবত বিদেশে অবস্থান করছেন। টিটু বিদেশে অবস্থান করায় এবং ১৭ বছর ধরে পদ আঁকড়ে থাকায় সৃষ্ট অবচলাবস্থা কাটাতে তার স্থলে ১নং সহ-সভাপতি মো. নাজিমকে পরবর্তী সম্মেলন পর্যন্ত সভাপতি হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়।

একইসঙ্গে সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা আইনের শিক্ষার্থী না-এটা প্রমাণিত হওয়ায় এবং তিনি দীর্ঘদিন সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে না থাকায় তার স্থলে ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নোমান হোসেন তালুকদারকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়, যেহেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ ও আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ একীভূত হয়ে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ গঠিত হয়েছে। সে কারণে বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদ ও আওয়ামী আইন ছাত্র পরিষদকেও একীভূত করা প্রয়োজন।

এ জন্য দুই সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ করে বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদ গঠন করতে অবিলম্বে পদক্ষেপ চেয়ে বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতৃবৃন্দ, আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদককে বর্ধিত সভার সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।

বর্ধিত সভার গৃহীত রেজ্যুলেশনে বলা হয়, ১৭ বছর পদ আঁকড়ে থাকা, দুই বছর ধরে বিদেশে থাকা সভাপতি শহীদুল হক টিটু কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও সম্মেলন দেননি। এমনকি কেন্দ্রীয় কমিটির কোন সভাও আহ্বান করেননি। এর মাঝে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টিটুর স্বাক্ষরে কিছু লোককে পদ পদবী প্রদান করা হয়। যা সম্পর্কে কেন্দ্রীয় কমিটি কেউই অবগত নন।

এ পরিস্থিতিতে সংগঠনের অস্তিত্ব রক্ষা এবং গঠনতন্ত্রের বিধান সমুন্নত রাখতে সবার মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।