শিশু আব্দুল্লাহ্ হত্যায় প্রধান আসামির ফাঁসি, সহযোগীর যাবজ্জীবন

পাবনার শিশু আব্দুল্লাহ্ আল নূর (৪) হত্যা মামলায় প্রধান আসামি সোহেলকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দিয়েছেন আদালত। তার অপর সহযোগী আবদুস সামাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) দুপুর পৌনে ২টায় রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শিরীন কবিতা আখতার এই রায় ঘোষণা করেন।

দীর্ঘ প্রায় চার বছর পর পাবনার চাটমোহর উপজেলার এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা হলো। এই মামলার খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন বাদী আবুল হোসেনের বোনের ছেলে কবির হোসেন, আবুল হোসেনের সৎ মা আয়েশা বেওয়া এবং তাদের বাড়ির ভাড়াটিয়া প্রধান আসামি সোহেল বিশ্বাসের স্ত্রী আজিজা আক্তার রূপা।

তবে এ রায়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন নূরের বাবা আবুল হোসেন।

বাদী আবুল হোসেন বলেন, একই ঘরে স্বামী-স্ত্রী মিলে তার ছেলেকে হত্যা করলো। কিন্তু একজনের ফাঁসির আদেশ দেওয়া হলো, একজনকে খালাস দেওয়া হলো। এ কেমন বিচার? আমি এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবো।

মামলার বিবরণে জানা যায়, পাবনার চাটমোহর পৌর সদরের হারান মোড় মহল্লার ব্যবসায়ী আবুল হোসেনের চার বছর বয়সী শিশু সন্তান আব্দুল্লাহ্ আল নূর। সে জন্মসূত্রে গ্রিসের নাগরিক।

আবুল হোসেন গ্রিসে বসবাসের সময় জন্ম হয়েছিল আব্দুল্লাহ আল নূরের। পরে তারা দেশে ফিরে পাবনার চাটমোহরেরর নিজ গ্রামে একটি দ্বিতল বাড়ি তৈরি করে বসবাস শুরু করেন।

২০১৪ সালের ২৫ জুন বেলা ১১টার দিকে নিখোঁজ হয় নূর। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান মেলেনি। পরে নূরের পরিবার পুলিশসহ বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগিতা কামনা করেন। শিশু নূরের সন্ধান চেয়ে মাইকিংও করা হয়।

নূর নিখোঁজের দু’দিন পর ২০১৪ সালের ২৭ জুন বিকেলে স্থানীয় ভাদড়া খেলার মাঠের দক্ষিণ পাশের জলমগ্ন আবাদি জমি থেকে মস্তিষ্ক, দুটি হাত ও নাড়িভুড়িবিহীন এবং পায়ের কুঁচকির পাশে ধারালো অস্ত্রের গভীর জখমে ক্ষত-বিক্ষত পঁচা দুর্গন্ধযুক্ত বিকৃত একটি শিশুর মরদেহ পলিথিন ব্যাগে বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হয়।