আদালতের রায়ে ২০ বছর পর 'বাল্যবিয়ে' থেকে মুক্তি পেলেন তরুণী
বাল্যবিয়ে (প্রতীকী ছবি)

বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে গিয়ে তোপের মুখে ভ্রাম্যমাণ আদালত

বগুড়ায় বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে গিয়ে কনের স্বজনদের তোপের মুখে পড়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার (২৯ জুন) বিকেলে শহরের নারুলী খন্দকারপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম বদিউজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খন্দকারপাড়ার অটোরিকশা চালক বাবু মিয়ার মেয়ে স্থানীয় বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ে। বাবু তার মেয়ের বিয়ে সোনাতলা উপজেলার হলিদাবগা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে বাবুলের সাথে ঠিক করেন।

শুক্রবার দুপুরে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বরপক্ষ আসার আগেই বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন। আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে বাবু ও তার স্ত্রী ফাইমা তাদের মেয়েকে নিয়ে অন্যত্র চলে যান।

এ সময় কনের স্বজনেরা লাঠিসোটা নিয়ে আদালতের উপর চড়াও হন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বাল্য বিয়ের আয়োজন ও আদালতের কাজে বাধা দেওয়ায় কনের দাদা (বাবার মামা) সেকেন্দার আলী, খালা সুইটি বেগম ও চাচা রকি মিয়াকে আটক করা হয়। এক পর্যায়ে সেকেন্দার আলী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে আদালত সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে রকিকে দুই মাস ও সুইটিকে এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুর রহমান জানান, স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে গেলে স্বজনরা লাঠিসোটা নিয়ে আদালতের উপর চড়াও হয়েছিলেন। আদালতের কাজে বাঁধা দেওয়ায় দুজনকে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।