বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট- ফাইল ছবি

সুপ্রিম কোর্টেও সক্রিয় জালিয়াত চক্র

সুপ্রিম কোর্টে সক্রিয় বিভিন্ন জালিয়াত চক্র। এই চক্র জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি কাগজপত্র দাখিল করে ফায়দা লোটার অপচেষ্টা করছে। ধরাও পড়ছে একের পর এক ঘটনা। আসামিদের জামিন নেওয়ার ক্ষেত্রে ভুয়া এফআইআর, চার্জশিট, জব্দ তালিকা দাখিল করা হচ্ছে। অভিযোগের গুরুত্ব কমিয়ে তৈরি করা কাগজপত্র দেখিয়ে আদালতকে বিভ্রান্ত করে পক্ষে নেওয়া হচ্ছে আদেশ। ফৌজদারি বিবিধ শাখায় এসব ঘটনা বেশি ঘটছে।

গাজীপুরের রাজাবাড়ী ইউনিয়নের চিনাশুকানিয়া গ্রামের এক শিশুকে (১০) ঘর ঝাড়ু দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে প্রবাস ফেরত প্রতিবেশী বিল্লাল ভূঁইয়া (৪৫)। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিচারিক আদালতে জামিন না পেয়ে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করে বিল্লাল। ওই আবেদনের সঙ্গে জাল নথি যুক্ত করে বলা হয়, ‘মেয়েটির বয়স ২১ বছর (প্রকৃত পক্ষে ১০)। দুজন একে অপরকে ভালোবাসে। মেয়ের মা সেটি পছন্দ করেন না। ধর্ষণের ঘটনাও ঘটেনি। মেডিক্যাল সার্টিফিকেটে ধর্ষণের কোনও প্রমাণও নেই।’ ফলে হাইকোর্ট থেকে সহজেই জামিন পায় মামলার প্রধান এই আসামি।

কিন্তু এর কিছুদিন পরে হাইকোর্টের ওই জামিন আদেশ বিচারিক আদালতে পৌঁছালে জালিয়াতির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট আদালতের নজরে আসে। ওই বিচারিক আদালত সুপ্রিম কোর্টকে জানান, আসামি বিল্লাল শিশুটির মেডিক্যাল সার্টিফিকেট ও হাইকোর্টের আইনজীবীর নাম জালিয়াতি করে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিল্লালকে দেওয়া জামিন আদেশ বাতিল করেন হাইকোর্ট।

গত ১২ এপ্রিল উচ্চ আদালতে অবকাশ শুরুর আগের এক সপ্তাহেই হাইকোর্টে জামিন নেওয়ার ক্ষেত্রে এ ধরনের চারটি ঘটনা ধরা পড়ে। পরে গত ১৫ এপ্রিল ৫৫০ গ্রাম হেরোইন ৪৮ গ্রাম দেখিয়ে জামিন নেওয়া এক আসামির জামিন বাতিল করে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি শেখ আবদুল আওয়াল ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের বেঞ্চ। এ ছাড়া এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ হত্যাসহ দুটি মামলায় জালিয়াতির কারণে জামিন বাতিল করে আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই বেঞ্চের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশির উল্লাহ।

এভাবে বিভিন্ন সময়ে আদালতের নির্দেশে সুপ্রিমকোর্টের বিভিন্ন সেকশন থেকে দায়ের করা জাল-জালিয়াতির প্রায় অর্ধশত মামলা বর্তমানে বিচারাধীন ও তদন্তাধীন। এর মধ্যে ফৌজদারি বিবিধ শাখা থেকে দায়ের করা বিচারাধীন ও তদন্তাধীন মামলা ২৪টি। এর মধ্যে ছয়টি করা হয়েছে চলতি বছর। এ ছাড়া রিট শাখা থেকে দায়ের করা বর্তমানে বিচারাধীন ও তদন্তাধীন এ ধরনের মামলার সংখ্যা ৯। ফৌজদারি আপিল শাখায় এ ধরনের মামলা আছে ২টি। অনেক সময় হাইকোর্ট এ ধরনের জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়লে নিম্ন আদালতকেও ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিষয়টি দৃশ্যমান না হওয়ায় বারবারই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে মনে করেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, কিছু কিছু আইনজীবী আছেন, তারা মিথ্যা তথ্য দিয়ে তথ্য গোপন করে জামিন করান। তাদের ব্যাপারে আদালত যদি সিরিয়াস পদক্ষেপ না নেন, সনদ বাতিল বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেন, তা হলে ঘটনা কমবে না। তিনি আরও বলেন, অনেক সময় আদালত বার কাউন্সিলে পাঠায় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। কিন্তু বার কাউন্সিলের ট্রাইব্যুনাল যেহেতু বার কাউন্সিলের সদস্যদের দিয়ে গঠিত, তাই বিচারপ্রার্থীরা আইনজীবীদের যেমন বিচার চান, সে রকম বিচার হয় না। এ অবস্থায় হাইকোর্ট যদি মনে করেন কোনো উকিল অসৎ বা প্রতারণামূলক কাজ করেছেন, তা হলে কোর্টকেই তার সনদ বাতিলের বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসেবে এটা আমার নিজস্ব অভিমত।

সম্প্রতি এ ধরনের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘জাল-জালিয়াতির ঘটনায় সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এ ধরনের ঘটনা ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

এক সিন্ডিকেটের মূলহোতাকে ধরতে তৎপর ডিবি
মাদকসম্রাট আল-আমিন ওরফে আকাশ মোল্লা ওরফে নাইট কিলার আল আমিন গত বছর ১৮ নভেম্বরে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। আল আমিনসহ ৬ জন ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর ৫০ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হয়েছিল। দেড় ডজন মামলার এই আসামিকে জালিয়াতির মাধ্যমে হাইকোর্ট থেকে জামিন করান তদবিরকারক জাহাঙ্গীর আলম।

যাত্রবাড়ী থানার ওই ইয়াবার মামলায় আল আমিনের কাছ থেকে ২ হাজার পিস উদ্ধার হলেও ২০১৬ সালে তার পক্ষে হাইকোর্টে দাখিল করা জামিন আবেদনে আল আমিনের কাছ থেকে ১০০ পিস উদ্ধার দেখানো হয়। মোট মামলায় উদ্ধার দেখানো হয় ১৫ হাজার পিস। এই ভুয়া তথ্যের ভিত্তিতে জাল এফআইআর, চার্জশিট ও জব্দতালিকা তৈরি করে হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। আদালত ১০০ পিসসহ গ্রেপ্তার দেখে আল আমিনকে জামিন দেন। আসামি আল আমিনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন আশুতোষ কুমার সানা। পরে বিচারিক আদালত থেকে জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে।

বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনা হলে ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর তার জামিন বাতিল করা হয়। পরে তদবিরকারক জাহাঙ্গীরের একাধিক জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ে। জানা যায়, জাহাঙ্গীর তিন আসামিকে আইনজীবী আশুতোষ কুমারের মাধ্যমে জামিন করিয়েছেন এবং তিনটিতেই তিনি জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা কাগজ সরবরাহ করেছেন। বাকি দুটিতে আসামি মো. শওকত হোসেন ও জহিরুল ইসলাম যথাক্রমে ১০০ পিস ও ৫০ পিসসহ গ্রেপ্তার হন মর্মে কাগজপত্র সরবরাহ করেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা ২ হাজার পিস ও ১ হাজার ৯০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হন। এ ঘটনা ধরা পড়ার পর হাইকোর্টের নথি পর্যালোচনায় ঢাকা বার সমিতির সদস্য বাগেরহাটের বাসিন্দা অ্যাডভোকেট জেসমিন নাহার মনির সংশ্লিষ্টতা উঠে আসে।

পরবর্তী সময়ে হাইকোর্ট এ ঘটনায় তিন আসামির তদবিরকারক বাগেরহাটের মোল্লারহাট থানার কচুরিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম ওরফে আরিফ এবং ওকালতনামায় স্বাক্ষরকারী নারায়ণগঞ্জ সদরের উত্তর নাসিংপুরের নাজমাকে আসামি করে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেন। এ ছাড়া ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী প্রায় অর্ধডজন অভিযোগে অভিযুক্ত জেসমিন নাহার মনির ওই জালিয়াতিতে জড়িত থাকার তদন্ত করতে বলেন। শাহবাগ থানার এসআই জাকিরুল ফিরোজ বাদী হয়ে গত বছরের ২৩ জুলাই মামলা করেন।

গত ১৭ জানুয়ারি নাজমাকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ডে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২৩ জানুয়ারি জেসমিন নাহার মনিকে গ্রেপ্তার করে। এরই মধ্যে নাজমা এ ঘটনায় আইনজীবী জেসমিন জড়িত বলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেয়। এ ছাড়া আসামি জাহাঙ্গীরের ওই আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে বলে প্রকাশ পায়। কিন্তু শাহবাগ থানা পুলিশ আসামি জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তারে ব্যর্থ হওয়ায় ২০ মার্চ হাইকোর্টের কাছে আবেদন দাখিল করে তাকে গ্রেপ্তারের জন্য ডিবির প্রতি নির্দেশনা চান। এ অবস্থায় হাইকোর্ট ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তারের আদেশ দিয়েছেন, যা গত ১১ এপ্রিল ডিবি কার্যালয়ে পৌঁছে। জাহাঙ্গীর অন্তত তিন আসামিকে জাল তথ্য সরবরাহ করে জামিন করিয়েছেন বলে জানা গেছে। তাকে গ্রেপ্তারে ওই আদেশ দিয়েছেন বিচারপতি একেএম আব্দুল হাকিম ও বিচারপতি এসএম মুজিবুর রহমানের বেঞ্চ। গত বৃহস্পতিবার ওই বেঞ্চের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুন-অর রশিদ জানান, এখন পর্যন্ত আরিফকে গ্রেপ্তার সম্ভব হয়নি। তাকে গ্রেপ্তার সম্ভব হলেই অনেক কিছু বের হয়ে আসবে। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে। অন্যদিকে আইনজীবী সানা তদবিরকারক জাহাঙ্গীরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন।

এভাবে নথি জালিয়াতি, জাল আদেশ তৈরি, প্রকৃত তথ্য গোপন করার মাধ্যমে নিম্ন আদালত থেকে নানা কৌশলে আসামিরা জামিনে মুক্ত হয়ে পালিয়ে যাওয়ার এ ধরনের ঘটনায় বিব্রত বিচারপতি ও আইনজীবীরা। বিনষ্ট হচ্ছে আদালতের মর্যাদাও।

জামিনের আদেশ, আদালতের নথি জালিয়াতির মতো বিচারপতিদের সই জালিয়াতির ঘটনাও ঘটেছে দেশের উচ্চ আদালতে। এসব ঘটনায় সংশ্লিষ্ট আসামিদের তাৎক্ষণিক গ্রেফতার, জামিন বাতিল, সিআইডির মাধ্যমে জালিয়াতির ঘটনা তদন্ত এবং সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনকে জালিয়াতির ঘটনা খতিয়ে দেখতে হাইকোর্টের বেশ কয়েকটি বেঞ্চের নির্দেশনা রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুপ্রিম কোর্টের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘জালিয়াতের ঘটনা রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে হাইকোর্ট। জালিয়াত চক্রকে খুঁজে বের করতে বিভিন্ন তদন্ত সংস্থাকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইনজীবী ও বেঞ্চ অফিসারদের যোগসাজশে এসব ঘটনা ঘটছে কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখছে প্রশাসন। এ ধরনের ঘটনায় জড়িত থাকায় এরই মধ্যে রফিকুল ইসলাম নামে হাইকোর্টের এক বেঞ্চ কর্মকর্তাকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জাহিদ সারওয়ার কাজল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নথি কিংবা আদালতের আদেশ জাল করে অনেক আসামি কারামুক্ত হয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। গত ২৮ মে তিন মামলায় জামিন জালিয়াতির অভিযোগে আইনজীবী মো. জালাল উদ্দিনকে সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের সব আদালতে ছয় মাসের জন্য মামলা পরিচালনার ওপর নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এসব জালিয়াতির ঘটনা তদন্ত করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব জালিয়াতির ঘটনা আমাদের আইনজীবীদের জন্য বিব্রতকর।’ এতে আইনজীবী ছাড়াও বিচার বিভাগের ওপর মানুষের আস্থার সংকট দেখা দেবে বলে মত দেন তিনি।

এদিকে জালিয়াতির ঘটনা রোধে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি একটি সাব কমিটি গঠন করেছে। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দুজন সহ-সভাপতি, দুজন সহযোগী সম্পাদক ও এক সদস্যসহ পাঁচ সদস্যের এই সাব কমিটি উচ্চ আদালতের জালিয়াতি রোধে কাজ করছে।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আদালত প্রাঙ্গণে জালিয়াতি কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার নয়। এর সঙ্গে আদালতের ও আইনজীবীদের মান-সম্মানের প্রশ্ন জড়িত। মূলত নিম্ন আদালত থেকে নথি জাল হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে আমরা যতটা পারছি তা প্রতিহত করার চেষ্টা করছি। এ পর্যন্ত হাইকোর্টে আমরা সাত ভুয়া আইনজীবীকেও শনাক্ত করে থানায় সোপার্দ করেছি। এরাই মূলত এ ধরনের ঘটনা ঘটায়। তবু সর্বাবস্থায় জালিয়াতি রোধে আমরা অত্যন্ত সচেতন আছি।’

সঠিক তদারকি নেই
জাল-জালিয়াতির যেসব মামলা সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন থেকে দায়ের করা হচ্ছে, সেগুলোর তদারকি সঠিকভাবে না থাকায় মামলাগুলো এক ধরনের গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে বলে অভিযোগ রয়েছে। অনেক মামলার তদন্ত শেষ করতেই বছরের পর বছর কেটে যায়। এ ছাড়া বিচার শুরু হলে সাক্ষ্যপ্রমাণ হাজির করাসহ নানা সমস্যায় বিচার বিলম্বিত হয়। সেকশনের যেসব কর্মকর্তা বাদী হয়ে মামলা করেন, অনেক সময় আসামিপক্ষ তাদের ম্যানেজ করে কালক্ষেপণ করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। উচ্চ আদালতের কাছে জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ার পরও তার বিচার করতে এক যুগ পর্যন্তও অপেক্ষা করতে হচ্ছে বলে তথ্য রয়েছে। এ কারণে এসব মামলার সঠিক তদারকি দরকার বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।