খালেদা জিয়া (ফাইল ছবি)

খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন শুনানি রোববার

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি চেয়ে করা আবেদনের ওপর আগামী রোববার (৮ জুলাই) শুনানির দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। এর আগে হাইকোর্ট থেকে তিনি এ মামলায় চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছিলেন।

আজ বৃহস্পতিবার (৫ জুলাই) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদনের শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেন।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সিনিয়র অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী ও অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন প্রমুখ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোরশেদ।

এর আগে গত ৪ জুলাই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া চার মাসের জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা।

প্রসঙ্গত, ১২ মার্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহমি ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। হাইকোর্টের দেওয়া ওই জামিন স্থগিত চেয়ে ১৩ মার্চ আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক। হাইকোর্টের দেওয়া ওই জামিন স্থগিত চেয়ে ১৪ মার্চ আপিল বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের শুনানি হয়। শুনানি শেষে খালেদা জিয়াকে হাইকার্টের দেওয়া জামিনাদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে) দায়ের করতে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদককে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে খালেদা জিয়াকে দেওয়া হাইকোর্টের জামিন ১৮ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করেন আপিল আদালত। এ আদেশ অনুসারে পরের দিন ১৫ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক লিভ টু আপিল দায়ের করেন। তারপর আপিল শুনানি শেষে ১৬ মে রায় দেন আপিল বিভাগ। রায়ে খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বাতিল চেয়ে করা রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে নিম্ন আদালতের দেওয়া ৫ বছরের সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া যে আপিল করেছেন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে তা আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন। পরে এই রায়ের অনুলিপি বিচারপতিদের স্বাক্ষর শেষে গত ১১ জুন প্রকাশিত হয়।