বাংলাদেশের উচ্চ আদালত

সাবেক বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের জামিন নিয়ে রুলের রায় ১৭ জুলাই

অবৈধ সম্পদ অর্জনে দুর্নীতির অভিযোগের মুখে থাকা আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীনকে আগাম জামিন দিয়ে জারি করা রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে রায়ের জন্য ১৭ জুলাই দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার (১০ জুলাই) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি ড. কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন নির্ধারণ করেন।

আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের পক্ষে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন শুনানি করবেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রোনা নাহরীন ও এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

পরে খুরশীদ আলম খান জানান, ওনার (বিচারপতি জয়নুল আবেদীন) বিরুদ্ধে রেগুলার কোনো মামলা নেই। মামলা না থাকলে জামিন কিভাবে হয়।

এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, গত বছরের ১০ জুলাই হাইকোর্ট বিচারপতি জয়নুল আবেদীনকে আগাম জামিন দিয়ে রুল জারি করেছেন। এর বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করেছিলো। আপিল বিভাগ হাইকোর্ট বিভাগে রুল নিষ্পত্তি করতে বলেছেন। সে অনুসারে রুল শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে রায়ের জন্য ১৭ জুলাই দিন ঠিক করেছেন।

২০১০ সালের ১৮ জুলাই সম্পদের হিসাব চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীনকে নোটিশ দেয় দুদক। পরে দুদকের দেয়া নোটিসের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তিনি একই সালের ২৫ জুলাই হাইকোর্টে একটি রিট আবেদনও করেছিলেন। যে রিটটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ হয়ে যায়।

পরে ২০১০ সালের ২৫ অক্টোবর তাকে আরও একটি নোটিশ দেয় দুদক। ৩ নভেম্বর তিনি এ বিষয়ে তথ্য জমা দেন। দীর্ঘ দিনপরে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে তার কাছে ব্যাখা চায় দুদক। পরে তিনি ব্যাখ্যা দেন। এরপর ওই বছরের জুনে একটি পত্রিকায় ওই বিচারপতির বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে গ্রেফতার ও হয়রানির আশঙ্কা থেকে তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।

২০১৭ সালের ১০ জুলাই হাইকোর্ট তাকে এ অভিযোগের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত জামিন দেন এবং রুল জারি করেন।