তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু

আদালত-কারাগার খেয়াল রেখে সাংবাদিকদের চলার পরামর্শ তথ্যমন্ত্রীর

আদালত ও কারাগারকে খেয়াল রেখে সাংবাদিকদের চলার পরামর্শ দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

আজ বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) দুপুরে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) কর্মসূচির সহায়তায় বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) অনলাইনের মাধ্যমে ‘মুক্তপাঠ-ই লার্নিং’ নামে সাংবাদিকতার প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করে। এ কোর্সে তৃণমূল পর্যায়ে প্রায় আড়াই হাজার সাংবাদিক অনলাইনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সাড়ে চার শ সাংবাদিকের সনদ প্রদান অনুষ্ঠান ছিল আজ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী। রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান হয়।

গণতন্ত্রের সংজ্ঞা প্রসঙ্গে হাসানুল হক ইনু তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা এক কথায় খুব বলে দিই, গণতন্ত্র মানে কথা বলার অধিকার, মতপ্রকাশের অধিকার, সমালোচনা করার অধিকার বা আমরা বলি গণতন্ত্র মানে নির্বাচিত সরকার প্রতিটি স্তরে নির্বাচন করবে। সরলভাবে গণতন্ত্রের সংজ্ঞা নির্মাণ করা ঠিক না। গণতন্ত্র কার্যত হলো আইনের শাসন। যখন আইনের শাসন বলব, তার মানে হলো গণতন্ত্র একটা আইনের কাঠামোর মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চা হয়। সেই কাঠামোর ভেতর যাঁরা যাওয়ার অধিকারপ্রাপ্ত হন, তাঁরাই গণতন্ত্রের ভেতর বসবাস করতে পারেন। যাঁরা অধিকারপ্রাপ্ত নন, তাঁরা এ কাঠামোর ভেতর বসবাস করতে পারেন না।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আইন মেনে আইনের নির্দিষ্ট গণ্ডির ভেতর কাজটি করতে হয়। এ জন্য গণতন্ত্রের ভেতরে একদিকে মতপ্রকাশের অধিকার আছে, আরেক দিকে কারাগার আছে, আদালত আছে। আদালত ও কারাগার ছাড়া গণতন্ত্র নির্মাণ করা যায় না। সুতরাং আদালত ও কারাগার—এ দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ দুটি বিষয় থাকার জন্য আপনার এখানে মত এবং বক্তব্য লেখার অধিকার রয়েছে। আদালত ও কারাগার খেয়াল রেখে আপনাকে চলতে হবে। আইনের দ্বারা নির্দিষ্ট করে দেওয়া আছে আপনি কী করতে পারবেন আর কী করতে পারবেন না।’

হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘অপরাধী খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচন হবে না, তখন আমি মনে করি চক্রান্ত–যড়যন্ত্রের কালো বিড়ালটা বিএনপির থলের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসছে। নির্বাচন বানচালের চক্রান্তটা আস্তে আস্তে উঁকি মারছে। অপরাধীকে ছাড়া নির্বাচন করতে দেব না—বিএনপির এই উক্তি হচ্ছে গণতন্ত্রের সঙ্গে বেয়াদবি, ধৃষ্টতা, ঠাট্টা এবং বুড়ো আঙুল প্রদর্শন করা।’ এ রকম ভয়ংকর পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হলে সরকারের পাশাপাশি সাংবাদিকদেরও তিনি এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানের সভাপতি পিআইবির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও দৈনিক সমকালের সম্পাদক গোলাম সরওয়ার বলেন, ‘আমি তথ্যমন্ত্রীর অধিকাংশ বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করছি। তিনি সাংবাদিকদের ঝুঁকি বিমার আওতায় আনার দাবি জানান। অকারণে কারও চরিত্র হনন না করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান গোলাম সরওয়ার।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পিআইবির মহাপরিচালক মো. শাহ আলমগীর, কোর্সে অংশ নেওয়া তিন শিক্ষার্থী।