শেরপুরে কিশোরী ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বীনা আক্তার (১৫) নামে এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দম ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের বাকাকুড়া গ্রামের ফজল হকের ছেলে মো. আমানুল্লাহ (২৩), হাবিবুর রহমানের ছেলে নুরে আলম (২৮) ও মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে কালু মিয়া (৩০)। তাদের মধ্যে কালু মিয়া পলাতক।

নারী ও শিশু নির্যাতন দম ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু গণমাধ্যমকে রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, কাংশা ইউনিয়নের পশ্চিম বাকাকুড়া গ্রামের শফিকুল শেখের মেয়ে বীনা স্থানীয় একটি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়তো। মেয়েটির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন স্থানীয় আমানুল্লাহ। কিন্তু ওই সম্পর্ক বীনার মা-বাবা মেনে না নেয়ায় একই এলাকার কালু ২০১৬ সালের ৯ জুলাই বীনাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আমানুল্লাহর কাছে নিয়ে যান। আমানুল্লাহ মেয়েটিকে বিয়ের কথা বলে বিভিন্ন জায়গায় রেখে ধর্ষণ করেন। পরে তিনি মেয়েটির মুখে এসিড ঢেলে এবং যৌনাঙ্গে গাছের ডাল ঢুকিয়ে নির্যাতন করে হত্যা করে বাকাকুড়া এতিমখানার পাশের শিলঝোড়া খালে মরদেহ ফেলে দেন। ২১ জুলাই ওই খালে মেয়েটির মরদেহ পাওয়া যায়।

ওই ঘটনায় ২১ জুলাই বিনার মা বাদী হয়ে ঝিনাইগাতী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তদন্তে এ হত্যায় আমানুল্লাহ ও কালু ছাড়াও নুরে আলম নামে আরো এক ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। পরে ওই বছরের ২০ অক্টোবর ওই তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ঝিনাইগাতী থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল করিম। মামলায় চিকিৎসকসহ ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় বৃহস্পতিবার এ রায় দেন বিচারক।