বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ

ভারতে অনুপ্রবেশ: সালাউদ্দিনের মামলার রায় ১৫ নভেম্বর

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে ভারতে অনুপ্রবেশের ঘটনায় করা মামলার রায় গতকাল শুক্রবার ঘোষণা করা হয়নি। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ের একটি আদালতে রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। এ নিয়ে পঞ্চমবার এই মামলার রায় ঘোষণার তারিখ পেছাল। আদালত সূত্র জানায়, রায় ঘোষণার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৫ নভেম্বর।

বিএনপির নেতা সালাউদ্দিনের আইনজীবী এস পি মহন্ত শুক্রবার শিলং থেকে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, বিচারক অনুপস্থিত থাকায় শুক্রবার রায় ঘোষণা হয়নি। ১৫ নভেম্বর রায় ঘোষণা হতে পারে। এর বেশি কিছু বলতে চাননি তিনি।

বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতের মেঘালয় রাজ্যে প্রবেশের অভিযোগে দেশটির ফরেনার্স অ্যাক্টের আওতায় তিন বছর ধরে মামলা চলছে বিএনপির নেতা সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে। ওই আইনের ১৪ ধারায় কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

২০১৫ সালের ১০ মার্চ ঢাকার উত্তরা থেকে অপহৃত হন বিএনপির শাসনামলে যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা সালাউদ্দিন আহমদ। অপহরণের প্রায় দুই মাস পর ২০১৫ সালের ১১ মে ভোরে শিলংয়ের গলফ লিংক এলাকায় উদ্‌ভ্রান্তের মতো ঘোরাঘুরির সময় পুলিশ তাঁকে আটক করে। কীভাবে তিনি ঢাকা থেকে শিলংয়ে পৌঁছালেন, তা উদ্ঘাটন করতে পারেনি ভারতীয় পুলিশ।

ফরেনার্স অ্যাক্টের আওতায় মামলার তদন্ত শেষে মেঘালয় পুলিশ ২০১৫ সালের ৩ জুন সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। কিছুদিন হাসপাতাল ও কারাগারে কাটানোর পর ওই বছরের ৫ জুন মুক্তি পান তিনি। আর ৩০ জুলাই থেকে তাঁর বিরুদ্ধে বিচারকাজ শুরু হয়। তাঁর পরিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিঙ্গাপুরে নিতে চাইলেও শিলংয়ের আদালত ভারত ছাড়ার অনুমতি দেননি। পরে অবশ্য চিকিৎসার জন্য আদালত তাঁকে দিল্লি যাওয়ার অনুমতি দেন।