আইনমন্ত্রী আনিসুল হক (ফাইল ছবি)

বিদেশি সুবিধা পাওয়ার জন্য মিথ্যা বলছেন সিনহা : আইনমন্ত্রী

সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা বিদেশি সুবিধা (রাজনৈতিক আশ্রয়) পাওয়ার জন্য মিথ্যা কথা বলছেন বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, ঘটনা সত্য হলে তিনি দেশেই কথা বলতেন। এখন বিদেশি সুবিধা (রাজনৈতিক আশ্রয়) পাওয়ার জন্য তিনি এসব কথা বলছেন।

আজ মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত জেলা সরকারী আইন সহায়তা কেন্দ্র লিগ্যাল এইড অফিসে সফটওয়ার ও মোবাইল অ্যাপস চালুর সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এদিকে প্রধান বিচারপতি থাকাকালে খাস কামরায় ডেকে অর্থ দাবি করেছেন বিচারপতি এস কে সিনহা, এমন অভিযোগ এনে গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা করেন নাজমুল হুদা।

মামলাটি দুদক আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বিধায় সেখানে পাঠিয়ে দেয় শাহবাগ থানা পুলিশ।

বিচারপতি সিনহার বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘মামলার ব্যাপারে, আমি আবারো বলছি, মামলা যেহেতু হয়ে গেছে আমি সে সম্পর্কে কোনো কথা কখনো বলি নাই এবং এখনো বলবো না। দুদক তার দায়িত্ব পালন করবে এটা তাদের ব্যাপার।’

বিদেশ থেকে বিচারপতি সিনহাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া যেটা বলছেন, সেটা আদালতের মাধ্যমে হবে, মামলা যখন চলবে। সেটুকু আমি বলতে পারি।’

বিচারপতি এস কে সিনহার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘ওনার যে ক্ষোভ, ওনার হতাশাগুলো, ওনার ব্রোকেন ড্রিমস, ওনার উচ্চাভিলাষ, এগুলো চরিতার্থ করতে পারেননি বলে আজকে উনি এসব আহাজারি করছেন। তো সে সব ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই।’

‘উনার যে, এই দেশের প্রতি কোনো আনুগত্য নেই সেটাই বোঝা যাচ্ছে। তার কারণ হচ্ছে, যে সব কথা আজকে উনি বলছেন উনি কিন্তু সেই সব কথা আগেও বলতে পারতেন দেশে থেকেও বলতে পারতেন, কিন্তু সেগুলো যেহেতু সর্বৈব মিথ্যা, সেজন্য তিনি সেসব কথা দেশের বাইরে গিয়ে বলছেন। এবং আজকে এটা পরিষ্কার হলো যে এসব কথা উনি এ বলছেন এ কারণে যে, তিনি বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চান। তার কারণ হচ্ছে তিনি দেশে আসলে হয়তো তার মধ্যে ভয় আছে যে, এই যে মামলা, মামলাগুলোর সম্মুখীন হতে হবে তার।’

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তথ্যমন্ত্রী, আইসিটি মন্ত্রী, তথ্য উপদেষ্টা ও সম্পাদক পরিষদের বৈঠকের পর পরিষ্কার করে বলেছি, আজকেও বলছি, আগামী মন্ত্রিসভায় বা তার পরের সভায় সম্পাদক পরিষদের বক্তব্যগুলো নিয়ে আলোচনার জন্য তুলে ধরবো।’