শ. ম. রেজাউল করিম

পিরোজপুর-১ আসনে আলোচনার শীর্ষে শ ম রেজাউল করিম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক মাস বাকি। নির্বাচন ঘিরে তাই বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাঁপ করছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। নিজ নিজ দলের মনোনয়ন পেতে চলছে লবিং-তদবির। সম্ভাব্য প্রার্থীরা এরই মধ্যে শুরু করে দিয়েছেন প্রচার-প্রচারণা।

দেশের অন্যান্য জেলার মত পিরোজপুরেও বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ। পিরোজপুর-১ (সদর-নাজিরপুর-স্বরূপকাঠি) আসনে বিভিন্ন প্রার্থী তাদের নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন। তাদের মধ্যে নাজিরপুরের সন্তান আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম রয়েছেন আলোচনার শীর্ষে।

পিরোজপুর-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইবেন তিনি। কেন্দ্রের নজর কাড়তে নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ শুরু করেছেন রেজাউল করিম। মানুষের কাছে নিজের প্রার্থী হওয়ার বিষয় তুলে ধরছেন। এলাকায় পোস্টার, ব্যানার সাঁটিয়ে নির্বাচনী মাঠে নিজের অবস্থানের জানান দিচ্ছেন তিনি।

সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম। টেলিভিশন টক শোতে পরিচিত মুখ। আইনজীবীদের মধ্যেও তিনি বেশ জনপ্রিয়। ছিলেন বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য।

ছাত্রজীবনেই রাজনীতিতে আসেন শ ম রেজাউল করিম। এখন তিনি জাতীয় রাজনীতিতে ভূমিকা রাখতে চান। তার আশা, অতীত কার্যক্রম পর্যালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তাকে মনোনয়ন দেবেন।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই আসনে ক্লিন ইমেজের নতুন কাউকে প্রার্থী করা হলে সুবিধা নিতে পারবে আওয়ামী লীগ। কারণ গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া লাগোয়া এ উপজেলা। এখানে রয়েছে আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি।

মনোনয়নপ্রত্যাশী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘নির্বাচনী মাঠে আমি আছি। তবে আগামী নির্বাচনে দল যাকেই মনোনয়ন দেবে, তার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাব।’

তিনি বলেন, গত দশ বছরে সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও, সে তুলনায় নাজিরপুর-স্বরূপকাঠিতে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এখানকার বড় সমস্যা রাস্তাঘাট। এসব নিয়ে কাজ করতে হলে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে থাকা জরুরি।