খাদ্য ভবন

পদোন্নতির জন্য জাল সনদ ব্যবহারের দায়ে ২৮ কর্মচারী বরখাস্ত

খাদ্য অধিদপ্তরে পদোন্নতির জন্য কর্মচারীদের জাল সনদ ব্যবহারের একটি চেষ্টা ভন্ডুল করে দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের তাৎক্ষণিক অভিযানের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে জাল সনদ ব্যবহারের দায়ে ২৮ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, খাদ্য অধিদপ্তরের অফিস সহায়ক থেকে অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক পদে পদোন্নতির জন্য জাল সনদ ব্যবহার করা হচ্ছে মর্মে দুদকের হটলাইনে (১০৬) একটি অভিযোগ আসে। অভিযোগ পেয়ে সোমবার (৮ অক্টোবর) দুদকের সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে একটি দল ঢাকার আবদুল গণি রোডে খাদ্য ভবনে অভিযান চালায়।

অভিযানে দুদক দলটি পদোন্নতিযোগ্য ৩৮ জনের নথি তলব করে দেখে, কারও ব্যক্তিগত নথিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের অনুমতি নেই। তারপরও তারা প্রত্যেকেই তাদের ব্যক্তিগত ফাইলে বেআইনিভাবে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সনদ যুক্ত করেছেন। পদোন্নতির জন্য তাঁদের জমা দেওয়া রেকর্ডপত্র যাচাই-বাছাই করার পর ২৮ জনের সনদ জাল মর্মে প্রাথমিকভাবে সত্যতা মেলে।

প্রসঙ্গত, আজ মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটির বৈঠকের তারিখ নির্ধারিত ছিল।

জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ার পরপরই খাদ্য অধিদপ্তরের এমআইএসঅ্যান্ডএম বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মাহমুদ হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে খাদ্য অধিদপ্তর। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন হিসাব ও অর্থ বিভাগের উপরিচালক মোহাম্মদ আমিনুল এহসান এবং সরবরাহ, বণ্টন ও বিপণন বিভাগের উপপরিচালক মো. আল-ওয়াজিউর রহমান।

খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আরিফুর রহমান অপু বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ভুয়া সনদ পাওয়ার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাময়িক বরখাস্ত করা হবে। এখন তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা গেছে, পদোন্নতির জন্য বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটির বৈঠক স্থগিত করা হয়েছে। যাঁরা জাল সনদ সত্যায়িত করেছেন ও জেলা অফিস থেকে যাচাই-বাছাই না করে প্রধান কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ ছাড়া প্রধান কার্যালয়ে জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাঁদের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।

অভিযান পরিচালনা প্রসঙ্গে এনফোর্সমেন্ট অভিযানের সমন্বয়কারী দুদক মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী বলেন, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে এ ধরনের জালিয়াতিসহ সব দুর্নীতির বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালানো হবে।’