রায়ের পর প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া

অসন্তুষ্ট বিএনপির আইনজীবীরা, তারেক রহমান দেশে ফিরলে আপিল

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বিবাদীপক্ষ। বিশেষ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ায় অসন্তুষ্ট বিএনপির আইনজীবীরা। তিনি (তারেক রহমান) দেশে ফিরে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী।

আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া রায়ের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট নই। যে মামলায় তারেক রহমানের খালাস পাওয়ার কথা সেখানে সাজা হয়েছে। আমরা ন্যায় বিচার পাইনি।’

আজ বুধবার (১০ অক্টোবর) ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

সানাউল্লাহ মিয়া বলেন ‘তারেক রহমানসহ বিএনপির যেসব নেতাকর্মীকে ফাঁসি ও যাবজ্জীবনের যে রায় দেওয়া হয়েছে তার কোনও সাক্ষী ছিল না। হাওয়া ভবন ও পিন্টুর বাসা থেকে কেউ এসে সাক্ষী দেয় নাই। রিমান্ডে মুফতি হান্নানের যে জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে, সেই জবানবন্দি প্রত্যাহার করা হয়েছে। এতে তার সঙ্গে তারেক রহমান ও বিএনপি নেতাদের কোনও সম্পর্ক নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘মুফতি হান্নানের সঙ্গে তারেক রহমানের কোনও দিন দেখাই হয়নি। অথচ আজকে অন্যায়ভাবে বেআইনিভাবে তারেক রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বিএনপির বহু নেতাসহ আব্দুস সালাম পিন্টুকে ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করেছিলাম তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের খালাস দেওয়া হবে। কোনও সাক্ষী বলে নেই যে তারেক রহমান ষড়যন্ত্র করেছেন। অথচ অন্যায়ভাবে তাকে যাবজ্জীবন দেওয়া হয়েছে। আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। তারেক রহমান ও জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করতে এ রায় দেওয়া হয়েছে।’

আপিল করতে হলে তারেক রহমানকে দেশে ফিরতে হবে। তিনি কি দেশে ফিরবেন? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘অন্যায় ও বেআইনিভাবে তারেক রহমানকে সাজা দেওয়া হয়েছে। তিনি অবশ্যই দেশে ফিরবেন। তারেক রহমান দেশে ফিরে এলে আপিল করবো আমরা। আপিল করলে তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতারা খালাস পাবেন। কারণ, কোনও সাক্ষী বলেননি তারেক রহমান ষড়যন্ত্র করেছেন, গোপন বৈঠক করেছেন। গণতন্ত্র রক্ষা, স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার জন্য তারেক রহমান আজীবন লড়াই করে গেছেন। আগামীতেও করবেন।’

প্রসঙ্গত, ২১ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ যাবজ্জীবন ও ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে। বুধবার দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দীন এ রায় ঘোষণা করেন।