রায় ঘোষণার পর বগুড়ায় বাসে পেট্রল বোমা হামলা, আহত ৩

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায় ঘোষণার পর আজ বুধবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে বগুড়ার শাজাহানপুরে একটি যাত্রীবাহী কোচে পেট্রল বোমা হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় কোচের তিন নারী যাত্রী আহত হয়েছেন।

পুলিশ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জেলা যুবদলের সহ-কৃষি বিষয়ক সম্পাদক নূর মাহমুদ মুন্সীকে (৩০) ধাওয়া করে গ্রেপ্তার করেছে। আহতরা স্থানীয় বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

আহত যাত্রীরা হলেন— বাসযাত্রী নীলফামারী জেলার জয়চন্ডি পুটিহাড়ি গ্রামের মোজাম্মেল হকের স্ত্রী আনজু মনোয়ারা (৫০), জলঢাকা উপজেলার শিমুলগাড়ি গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী মুনিরা বেগম (৪০) এবং টাঙ্গাইলের শান্তিনগর গ্রামের শামছুল ইসলামের মেয়ে শামীমা খাতুন (২৭)।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, নীলফামারী ছেড়ে আসা ঢাকাগামী নাবিল পরিবহনের একটি কোচ বুধবার বেলা ১২টার দিকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের শাজাহানপুর উপজেলার ফটকি সেতু পার হওয়া মাত্রই বাসে কয়েকজন যুবক পেট্রল বোমা ছুঁড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় বোমার আগুন এবং বাসের জানালার কাঁচ ভেঙে তিন নারী যাত্রী আহত হন। ঘটনার পরপরই টহল পুলিশ হামলাকারিদের ধাওয়া করে। এ সময় তাদের মধ্যে নূর মাহমুদ মুন্সীকে আটক করে পুলিশ। সে জেলা যুবদলের সহ-কৃষি বিষয়ক সম্পাদক।

নূর মাহমুদ শাজাহানপুর উপজেলার মাঝিরাপাড়া গ্রামের খাজা মিয়ার ছেলে এবং শাজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামানের ছোট ভাই।

কোচের যাত্রী নীলফামারীর সদর উপজেলার উত্তর বালাপাড়ার শামসুল ইসলামের মেয়ে আমিনা খাতুন (২৭) জানান, দুর্বৃত্তরা পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করলে চালক কোচ থামিয়ে দেন। এ সময় তার সামনের সিটে আগুন ধরে গেলে তিনি সন্তানকে নিয়ে জানালা দিয়ে নেমে পড়েন।

শাজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুম্মান জানান, মহাসড়কে তারা একসঙ্গে টহল ডিউটি করছিলেন। এ সময় কতিপয় যুবক বাসে বোমা ছুঁড়ে পালানোর সময় তাদের ধাওয়া করা হয়। প্রায় এক কিলোমিটার দৌড়ানোর পর তাদের একজন করতোয়া নদীতে ঝাঁপ দেয়। নিজেরাও সেখানে ঝাপ দিয়ে একজনকে ধরে ফেলেন। আটক ব্যক্তি জেলা যুবদলের সহ কৃষি বিষয়ক সম্পাদক।

এ বিষয়ে বগুড়ার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী জানান, ঢাকাগামী কোচে পেট্রল বোমা হামলায় তিন নারী যাত্রী আহত হয়েছে। হামলাকারিদের একজনকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।