সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল

রায় পর্যালোচনার পর তারকের ফাঁসি চেয়ে উচ্চ আদালতে যাবে রাষ্ট্রপক্ষ

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মতিঝিল থানায় করা হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৭ জনের যাবজ্জীবনেরআদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে।

রায় নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা অখুশি না হলেও তারেক রহমানের ফাঁসি না হওয়ায় বিস্মিত। তাই রায় পর্যালোচনা করে তারক রহমানের ফাঁসি চেয়ে অবশ্যই উচ্চতর আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেছেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম তারেক রহমানসহ অন্য ষড়যন্ত্রকারীদের ফাঁসি হবে। কিন্তু তা হয়নি। তাই রায় পর্যালোচনা করে অবশ্যই উচ্চতর আদালতে যাবো। আমাদের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।’

আজ বুধবার (১০ অক্টোবর) ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। ঠিক একইভাবে ২০০৮ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছিল। তারেক রহমান, মুফতি হান্নান, মাওলানা তাজউদ্দীন, আব্দুস সালাম পিন্টু এরা একত্রিত হয়ে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এই হত্যাচেষ্টা সংঘটিত করেছিল।’

রাষ্ট্রপক্ষের আরেক আইনজীবী সৈয়দ রেজাকুর রহমান বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে প্রতিটি মামলায় ২২৫ জন করে সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ করেছি। সাক্ষ্য প্রদানের মাধ্যমে আমরা আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় বলেছিলাম, সন্দেহের ঊর্ধ্বে থেকে আমরা আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। কাজেই আমাদের প্রত্যাশা ছিল আইনের বিধান অনুযায়ী সর্বোচ্চ সাজা যেন প্রদান করা হয়।’

রায়ে আপনারা সন্তুষ্ট কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রপক্ষের আরেক আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বলেন, ‘আইনের শাসন চুলচেরা বিশ্লেষণ করে বিচারক এই রায় দিয়েছেন। আমরা এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছি।’