‘জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্ট’ নামে সংগঠনের আত্মপ্রকাশ

‘গণতন্ত্র, স্বাধীন বিচারব্যবস্থা, আইনের শাসন ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ‘জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্ট’ নামে একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। আইনজীবীদের নেতৃত্বাধীন এ ফ্রন্ট গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের’ প্রতি সমর্থনও জানিয়েছে। শনিবার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনকে আহ্বায়ক এবং সমিতির সম্পাদক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে সদস্য সচিব করে এ ফ্রন্ট গঠিত হয়।

এতে ৩০১ জন আইনজীবীকে সদস্য করা হয়েছে। এ ছাড়া ফ্রন্টের নীতিনির্ধারণের জন্য গঠন করা হয়েছে ১৯ সদস্যের স্টিয়ারিং কমিটি। ফ্রন্টের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব পদাধিকার বলে স্টিয়ারিং কমিটিরও সদস্য থাকবেন। এ ছাড়া স্টিয়ারিং কমিটিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ সদস্য রয়েছেন।

জানতে চাইলে সংগঠনের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা, দেশে আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং আইনজীবীদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে এ আইনজীবী ঐক্যফ্রন্ট গঠন করা হয়েছে। শিগগিরই এর উদ্যোগে আইনজীবীদের একটি মহাসমাবেশ করার পরিকল্পনাও রয়েছে। সেই লক্ষ্যে ফ্রন্ট কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

এক প্রশ্নে জয়নুল আবেদীন বলেন, বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের’ যে চিন্তাচেতনা, নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি এগুলোর সঙ্গে ফ্রন্টের চিন্তাচেতনার মিল রয়েছে। এ কারণে তাদের প্রতি আমাদের সমর্থন থাকবে। আইানজীবী ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান জানিয়েছেন, আগামী ২৫ অক্টোবর ‘জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্ট’-এর প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হবে।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি-জেএসডি-গণফোরাম-নাগরিক ঐক্য মিলে ১৩ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে নতুন রাজনৈতিক জোট ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’। সম্প্রতি বিএনপিপন্থি আইনজীবীরাও ঐক্য প্রক্রিয়ার জন্য এ ধরনের কমিটি গঠন করার ঘোষণা দেন। সে অনুসারে শনিবার অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাকক্ষে ‘আন্দোলনরত সব আইনজীবী ও রাজনৈতিক দলের আইনজীবীদের’ এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ‘জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্ট’ গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।