রংপুরে আদালত চত্বরে আইনজীবীদের মানববন্ধন

আদালত চত্বরে ভাঙচুর-ককটেলবাজির প্রতিবাদে আইনজীবীদের মানববন্ধন

রংপুরে ব্যারিস্টার মইনুলের ওপর হামলাসহ আদালত চত্বরে ভাঙচুর-ককটেলবাজির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে আইনজীবীরা। একইসঙ্গে আদালত প্রাঙ্গনে হামলা চলানো বিএনপি-জামায়াতের বহিরাগত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করার জন্য ২৪ ঘণটার আল্টিমেটাম ঘোষণা করেন তারা। না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও তারা হুঁশিয়ারি দেন।

আজ সোমবার (৫ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের ব্যানারে এ মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রংপুর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক, আইনজীবী সমিতির নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন, অ্যাডভোকেট সাজেদ হোসেন তাতাসহ অন্যান্য আইনজীবীরা।

এসময় আইনজীবীরা বলেন, বিএনপির সমর্থনে আদালত চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করে ককটেল ফাটিয়ে অস্ত্র উঁচিয়ে হামলা করা হয়েছে। এতে এপিপি দিলশাদ হোসেন মুকুলসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী এবং অনেক সাধারণ মানুষ আহত হন। বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতিতে বিএনপি তাণ্ডব চালালেও পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। আদালত প্রাঙ্গনে বিএনপি সন্ত্রাসীদের তাণ্ডবের ঘটনায় আদালতের পবিত্রতা যেমন ক্ষুণ্ন হয়েছে তেমনি তারা বিচার ব্যবস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর স্পর্ধা দেখিয়েছে। তারা অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করার জন্য ২৪ ঘণটার আল্টিমেটাম ঘোষণা করেন। না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

উল্লেখ্য, মানহানির মামলায় হাজিরা দেওয়ার পর রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে মইনুল হোসেনকে রংপুর আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা আদালত চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও পাল্টা মিছিল বের করলে দুইপক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এসময় বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পুলিশ টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও গুলিবর্ষণ করে। সংঘর্ষে দুই পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন। এরমধ্যে বাদীপক্ষের আইনজীবী এপিপি দিলশাদ হোসেন মুকুলের মাথা ফেটে যায়।