পিরোজপুর-১ আসনে নেতাকর্মী ও ভোটারদের ভাবনায় শ. ম. রোজাউল করিম

পিরোজপুর-১ (সদর-নাজিরপুর-স্বরূপকাঠি) আসনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের এবং ভোটারদের ভাবনায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শ. ম. রেজাউল করিম। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, গুরুত্বপূর্ন এ আসনে একজন পরিছন্ন, সৎ, যোগ্য, শিক্ষিত প্রার্থী খুঁজছে স্থানীয়রা। এরকম প্রার্থী দিলে আওয়ামী লীগ এবং সাধারণ ভোটারগণ তাকেই বিজয়ী করবেন। দলীয় নেতাকর্মীরা বিশ্বাস করেন শ ম রেজাউল করিমের মত যোগ্য লোক সংসদ সদস্য হলে এলাকার চিত্র পাল্টে যাবে, উন্নয়ন হবে, সাধারণ জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের একটি আশ্রয় স্থল তৈরি হবে এমনটাই ভাবছেন নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ।

সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম টেলিভিশন টক শোতে পরিচিত মুখ। সমসাময়িক যে কোনো ঘটনায় টিভির পর্দায় নিয়মিত দেখা যায় তাকে। বিশেষ করে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের দাবিতে তিনি সব সময় সোচ্চার। যেকোনো ইস্যুতে আওয়ামী লীগের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে যাচ্ছেন।

আইনজীবীদের মধ্যেও বেশ জনপ্রিয় তিনি। বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ।

নাজিরপুরের স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল হান্নান বলেন (স্থানীয় ভাষা) “আমরা একটা মাইনকার চিপায় আছি” ঘরে বাইরে যুদ্ধ , ভাই ভাই যুদ্ধ এটা করলে সাধারণ জনগন পিরোজপুরের আওয়ামী লীগ নিয়ে হাসে এবং ভোটারগন ও ভাল চোখে দেখেন না। আমরা একজন দক্ষ, যোগ্য নেতার নেতৃত্বে থাকতে চাই। পিরোজপুর আওয়ামী লীগ এ রকম নেতা একজনই আছেন, তিনি হলেন শ. ম. রেজাউল করিম।

পেশাজীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলায় আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন শ. ম. রেজাউল করিম। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা ও জেলহত্যার মতো গুরুত্বপূর্ণ মামলার আইনজীবী ছিলেন তিনি। ১/১১ এর দুর্যোগকালীন সময়ে তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইনজীবী হিসেবে আইনি সহায়তা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, শেখ সেলিমের মতো রাজনীতিবিদদের আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।

পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রবীন এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সংসদ সদস্য হিসেবে পিরোজপুর-১ আসনে একজন ভদ্র লোকের দরকার, ভাল মানুষের দরকার। যে কথা দিয়ে কথা রাখবে, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে এক সাথে কাজ করবে, ত্যাগীদের মূল্যায়ন করবে। নেত্রী যদি এবার এটা বুঝে মনোনয়ন দেন, সে ক্ষেত্রে শ. ম. রেজাউল করিমের কোন বিকল্প নেই।

শিক্ষা জীবনে ছাত্রলীগ করে আসা শ. ম. রেজাউল করিম জাতীয় রাজনীতিতে ভূমিকা রাখতে চান। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচন করতে আগ্রহী। অতীত কার্যক্রম পর্যালোচনা করে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা তাকে মনোনয়ন দিবেন বলেও আশা করছেন পিরোজপুরের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা আমুল্য রনজন হালদার বলেন , পিরোজপুর-১ আসনে তৃণমুল আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের একত্রিত করা, এলাকার উন্নয়ন, সন্ত্রাস ও দুর্নীতি দূর করতে এ আসনে শ. ম. রেজাউল করিমের মত লোকের খুব প্রয়োজন। আশা করি দল এবং নেত্রী সঠিক সিদ্ধান্তই নেবেন।

শ. ম. রেজাউল করিম ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত। ১৯৮০ সালে খুলনা দৌলতপুর সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদের ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি), ১৯৮১ সালে খুলনা কৃষি কলেজের সাধারণ সম্পাদক (জিএস)। ১৯৮৯ সালে নাজিরপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯০ সাল থেকে জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য হিসেবে আছেন।

স্বরুপকাঠী উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা মাইদুল ইসলাম মুহিত বলেন, আমরা আওয়ামী লীগ করি দেশের উন্নয়নে এলাকার উন্নয়নের জন্য। নিশ্চই দল কোন দুর্নীতিবাজকে মনোনয়ন দেবেনা বলে বিশ্বাস করি। আর পিরোজপুরের উন্নয়নে শিক্ষিত, যোগ্য, ভাল লোককে মনোনয়ন দিতে হবে, যার মাধ্যমে এলাকার কারো ক্ষতি হবে না। সে ক্ষেত্রে শ. ম. রোজাউল করিমের বিকল্প কোন প্রার্থী নেই। তার মতো লোকই সংসদ সদস্য হওয়া দরকার।

শ ম রেজাউল করিম ইতোমধ্যে এলাকায় ব্যপক আলোচনায় রয়েছেন, রয়েছেন নেতাকর্মীদের ভাবনায়ও। গনসংযোগ, দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা, সরকারের উন্নয়নের প্রচারপত্র বিতরণসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মকান্ডে অংশ গ্রহন করেছেন এলাকার নেতাকর্মীদের নিয়ে।

এসব বিষয়ে শ ম রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, পিরোজপুরের জনগনের সাথে আগেও ছিলাম, এখনও আছি । ‘নির্বাচনী মাঠে আমি আছি বহুদিন ধরে। তবে আগামী নির্বাচনে দল যাকেই মনোনয়ন দেবে, তার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাব।’

তিনি বলেন, গত দশ বছরে সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও, সে তুলনায় পিরোজপুর-নাজিরপুর-স্বরূপকাঠিতে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এখানকার প্রধান সমস্যা সমস্যা রাস্তাঘাট সহ বড় ধরনের অবকাঠামো নির্মান। এসব নিয়ে কাজ করতে হলে দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে থাকা জরুরি। তাই আমার বিশ্বাস, মমতামীয় নেত্রী , জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং আমার দল আমাকে পিরোজপুর-১ আসনে মনোনয়ন দিয়ে এলাকার উন্নয়নে কাজ করার সুযোগ দিবেন।

মোঃ সিদ্দিকুর রহমান তুহিন/নাজিরপুর (পিরোজপুর) সংবাদদাতা