‘রাষ্ট্র বনাম জাকারিয়া পিন্টু ও অন্যান্য’ মামলা: আগাম জামিনে আত্মসমর্পণ প্রসঙ্গ
উচ্চ আদালত

চক্ষুশিবিরে চোখ হারানো ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণের রায় বহাল

চুয়াডাঙ্গায় ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে চক্ষুশিবিরে চোখ হারানো ১৭ জনকে ওষুধ (ট্রাইপেন ব্লু) সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান আইরিশ এন্টারপ্রাইজকে পাঁচ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার রায় বহাল রয়েছে। এই রায় স্থগিত চেয়ে আইরিশ এন্টারপ্রাইজের করা আবেদনে কোনো আদেশ দেননি (নো অর্ডার) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

আজ বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

আদালতে আইরিশের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম। হাইকোর্টে রিট আবেদনকারী আইনজীবী অমিত দাশগুপ্ত নিজেই শুনানিতে অংশ নেন। ইম্প্যাক্টের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তানিয়া আমীর।

এর আগে গত ২১ অক্টোবর হাইকোর্ট এক রায়ে ওই কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের চক্ষুশিবিরে চোখ হারানো ১৭ জনকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১০ লাখ টাকা করে দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর মধ্যে প্রত্যেককে পাঁচ লাখ টাকা করে ইম্প্যাক্ট এবং বাকি পাঁচ লাখ টাকা চক্ষুশিবিরে অস্ত্রোপচারে অনুমোদনহীন ওষুধ (ট্রাইপেন ব্লু) সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান আইরিশ এন্টারপ্রাইজকে দিতে বলা হয়েছিল। এর মধ্যে ইম্প্যাক্ট চোখ হারানো ১৭ জনসহ ক্ষতিগ্রস্ত ২০ জনকে পাঁচ লাখ টাকা করে প্রদান করেছে। অন্যদিকে, পাঁচ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আদেশ স্থগিত চেয়ে আইরিশ এন্টারপ্রাইজ আপিল বিভাগে আবেদন করে, যা ১১ নভেম্বর চেম্বার বিচারপতির আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। শুনানি নিয়ে চেম্বার বিচারপতি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য পাঠান।

উল্লেখ্য, গত ২৯ মার্চ ‘চক্ষুশিবিরে গিয়ে চোখ হারালেন ২০ জন!’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এটি যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অমিত দাশগুপ্ত রিট করেন, যার ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ১ এপ্রিল হাইকোর্ট ক্ষতিপূরণ প্রদানের বিষয়সহ কয়েকটি বিষয়ে রুল দেন। রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ২১ অক্টোবর চোখ হারানো ১৭ জনকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১০ লাখ টাকা করে দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।