‘মামলা জট কমাতে বিচারক ও আইনজীবীদের সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন’

মামলার জটকে বিচার বিভাগের বড় সমস্যা আখ্যায়িত করে রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ ওএইচএম ইলিয়াস হোসাইন বলেছেন, ‘মামলার জট বাড়লে আদালতের প্রতি বিচার প্রার্থী মানুষের বিশ্বাস ও আস্থায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এই সমস্যা সমাধানে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। মামলা জট কমাতে বিচারক ও আইনজীবীদের সক্রিয়া ভূমিকা প্রয়োজন।’

রাজশাহী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘বিচার বিভাগীয় সম্মেলন-২০১৮’ উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গতকাল শনিবার (১৭ নভেম্বর) তিনি এ কথা বলেন। রাজশাহী জেলা জজশিপ এ সম্মেলনের আয়োজন করে।

আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানিয়ে রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ মীর শফিকুল আলম বলেন, ‘সর্বস্তরের মানুষের জন্য ন্যায় বিচার নিশ্চিতে আমাদের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগের পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমেই দেশের উন্নয়ন সম্ভব। ফৌজদারী বিচার ব্যবস্থায় পুলিশ-র‌্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ন্যায়বিচারের স্বার্থে তাদের সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সুবিচার নিশ্চিতে বিচারক ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক অপরিহার্য।’

দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতের কার্যক্রম পরিচালনায় উদ্ভুত সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও সমাধান, বিচারক কর্তৃক স্ব-স্ব আদালতের সমস্যা, আদালতের জনবল সংকট, নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও জেলা জজশিপের অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে সবিস্তর আলোচনা করা হয়।

সম্মেলনে ‘রাজশাহী জজশিপের বিভিন্ন আদালতের বিদ্যমান সমস্যা ও তা সমাধানে করণীয়’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ যৌথভাবে উপস্থাপন করেন রাজশাহীর যুগ্ম-জেলা ও দায়রা জজ মো. আবুল কালাম আজাদ ও সিনিয়র সহকারী জজ মো. মনিরুজ্জামান।

রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ মীর শফিকুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জামিলুর রহমান, জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক গোলক চন্দ বিশ্বাস, বিভাগীয় স্পেশাল জজ কেএম মোস্তাকিনুর রহমান, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহা. ইমদাদুল হক, এফএম মেজবাহ উল হক, অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ এনায়েত কবির সরকার, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. আলমগীর, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (ভারপ্রাপ্ত) জুয়েল অধিকারী, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এসএম আব্দুল কাদের, জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল্লাহ্, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নওশাদ আলী, সিভিল সার্জন ডা. সঞ্জিত কুমার সাহা, গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ রানা, সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুন, র‌্যাব-৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর শিবলী ইসলাম, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি লোকমান আলী, পাবলিক প্রসিকিউটর ইব্রাহীম হোসেন ও সরকারি কৌসুলি রবিউল হক প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিনিয়র সহকারী জজ সাঈদ আহমেদ ও সহকারী জজ নাফিউ আকতার।