ফারমার্স ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী

হাইকোর্টে বাবুল চিশতীর দুই আবেদন খারিজ

ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের উদ্যোক্তা পরিচালক ও অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতীর (বাবুল চিশতী) জামিন বিষয়ে জারি করা রুল এবং তার সম্পত্তির জব্দাদেশ খুলে দেওয়ার জন্য করা আপিল আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত পৃথক দুই আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ সোমবার (১৯ নভেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্টপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

অন্যদিকে, আসামিপক্ষে জামিনের বিষয়ে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী শ. ম. রেজাউল করিম ও পার্থ রায় এবং চিশতীর আপিল মামলায় শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার।

এর আগে, ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকা স্থানান্তর, হস্তান্তর, লেয়ারিং ও মানিলন্ডারিং এর মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংকটির সাবেক পরিচালক ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতির বিরুদ্ধে মামলা হয়। ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন দুদকের উপ-পরিচালক মো. সামছুল আলম গত ১০ এপ্রিল গুলশান থানায় ৬ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন। পরে ওই দিনই তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এরপর বাবুল চিশতীর সম্পত্তির ওপরে বিচারিক আদালত জব্দের আদেশ দেন। পরে সেই আদেশ বাতিল চেয়ে বাবুল চিশতি হাইকোর্টে আবেদন জানান। পাশাপাশি জামিন চেয়ে তিনি হাইকোর্টের আবেদন জানালে আদালত তাকে কেন জামিন দিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে চার সপ্তাহের রুল জারি করেন।

ওই রুলের শুনানি শেষে সোমবার (১৯ নভেম্বর) হাইকোর্ট তার জামিন বিষয়ে জারি করা রুল এবং সম্পত্তির জব্দাদেশ খুলে দেওয়া সংক্রান্ত আপিল আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন।